Subscribe our Channel

জেগে উঠা চরে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন

আল ফয়সাল অনিক,ঠাকুরগাঁও:

 

গত মৌসুমে বাজারে ধানের দাম ভাল থাকায়। এবার রুহিয়ায় নদী এলাকায় কৃষকদের মাঝে বোরোধান চাষের আগ্রহ বেড়েছে। সেই সাথে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভাল থাকায় ধানের ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন ধান চাষীরা।

 

সদর উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা গতবছর আবাদ হয়েছিল ৩৫ হাজার ৬শত ২৫ হেক্টর। জানাযায়, প্রতিবছর শীতের শেষে টাঙ্গন নদীর গেইট খুলে দেওয়া হলে গেটের সামনে নদীর দুই ধারে কয়েক হেক্টর চর জেগে উঠে।

 

আর জেগে উঠা চরে নদী পাড়ে কৃষকেরা বাদাম, গম, পেয়াঁজ, রসুন ভুট্টা ও পাটসহ নানা জাতের ফষল চাষাবাদ করে থাকেন। তার মধ্যে অন্যতম এই বোরো ধান। আক্কাস আলী নামে এক কৃষক জানান, আমাদের চাষাবাদ করার মত কোন জমি-জমা নেই। যেহেতু নদীর জেগে উঠে চরে ও নদীর ধারে চাষ করলে কাউকে টাকা পায়সা দেওয়ার লাগেনা। তাই নদীতে ধান চাষ করেছি।

 

এতে যদি কিছুটা অভাব পুরোন হয়। আরেক কৃষক সুহেল রানা বলেন, নদীর পানি যখন কমতে শুরু করে আমরা তখন বোরো ধান রোপন করি। খরচ খুবই কম হয়। এ বছর বিঘা খানেক জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার সময় মত সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে পেরেছি। এতে ফলন বেশ ভালো হয়েছে। সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষ্ণ রায় জানান, চলতি মৌসুমে বোরো ধানের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৬৮৮ মে. টন। কৃষক যাতে ধান নিরাপদে ঘরে তুলতে পারেন সে লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি আরও জানান, বোরো মৌসুমে ধানের অন্যতম একটি প্রধান রোগ ব্লাস্ট। আর এই ব্লাস্ট রোগের কারণে কখনো কখনো ধান উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হতে পারে। ভেঙ্গে যেতে পারে কৃষকের স্বপ্ন সাথে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা। আমরা তাই ধানে ব্লাস্ট প্রতিরোধে ইতোমধ্যে কৃষকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছি।

 

সেই সাথে মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক, দলীয় সভা, কৃষক প্রশিক্ষণ, ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং ফসলের মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে ব্লাস্ট প্রতিরোধে কৃষকদের সচেতন ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *