আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনাভাইরাসে মহামারির সামনে একপ্রকার অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ভারত। এতে হাসপাতালগুলোতে জায়গা নেই, অক্সিজেন ও সংকটে রোজ মারা যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।
শ্মশান গুলোতে দিনরাত জ্বলছে চিতার আগুন। সরকারি হিসাবে গত সাতদিন দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন দেশটিতে। তবে এই সংখ্যা নিয়েও দেশটিতে প্রশ্ন দেখা দেয়। বলা হচ্ছে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর সরকারি হিসাব থেকে বাদ পড়ছে।আজ দেশটির ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুধু দিল্লি ঘুরেই মৃতের সংখ্যা নিয়ে বড় ধরনের বিভ্রান্তি খুঁজে পেয়েছে। অন্যরা [মরদেহ] আনে বাড়ি থেকো ।
করোনার সুনামিতে বিপর্যস্ত ভারতে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত-মৃত্যুর রেকর্ড ভাঙছে। গত রোববার দেশটিতে বিশ্বে প্রথমবারের মতো সাড়ে তিন লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
গতকাল শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও তা এখনও তিন লাখের ওপরেই রয়েছে। দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনও বাড়িতে মৃত্যুকে করোনায় মৃত্যু হিসেবে গোনে না। পরিবার যদি জানায় কেউ করোনায় ভুগছিল, তাহলে সেটিকে বড়জোর ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে ভিন্ন একটি তালিকায় যোগ করা হয়।
অবশ্য সেক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রোটোকল মেনেই মরদেহ দাহ করা হয়। ভয় জাগাচ্ছে মৃতের সংখ্যাও। সরকারি হিসাবে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৭১ জন মহামারির এই করোনায় মারা যায় ।