
মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তোতা পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : পঞ্চগড় হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঝুলি পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ জহিরুল ইসলাম পিতা মৃত হাচিমুদ্দিন, গ্রাম ঝুলি পাড়া তিনি অভিযোগ করে বলেন গত ১৪/১১/২০১৯ ইং তারিখে আমার ছেলেকে শিক্ষক নিয়োগে চাকুরি দেয়ার প্রস্তাব দেন ঢাংগী পুকুরী স্কুলের সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হক পিতা মৃত সামসুদ্দিন গ্রাম ঢাংগী পুকুরী হাড়িভাসা। সে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী দেয়ার কথা বলে আমার বাড়িতে আসেন এবং অনেক সাক্ষীগণের সামনে আমার কাছ থেকে একটি প্রমাণস্বরূপ স্ট্যাম্পে হাওলাত উল্লেখ করে ১১,০০,/০০০-টাকা শিক্ষক নিয়োগে চাকুরী দেয়ার কথা বলে নেন। এবং চাকুরি না হলে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ওয়াদা করেন এই শিক্ষক মোজাম্মেল হক। শিক্ষক মোজাম্মেল হক, একজন এত বড় টাউট তা আমার জানা ছিল না। আমার ছেলেকে বাসা থেকে ডেকে কোন এক স্থানে শিক্ষক নিয়োগের ভুয়া প্রশিক্ষণ দেওয়ান। শিক্ষক নিয়োগে চাকরির সময়সীমা পেরিয়ে গেলে আমরা যখন তাকে টাকার কথা বলি তখন শিক্ষক মোজাম্মেল হক আমাদের সাথে নানা তালবাহানা দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে জানতে পারি আমার ছেলেকে চাকুরী দেয়ার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ নাটক সে আমার কাছ থেকে প্রতারণা শোরুপ ১১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এখন টাকা দিতে অস্বীকার করছেন। এ বিষয়ে আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণমাধ্যম এবং প্রশাসন বরাবরে অভিযোগ দেই আমার কষ্টের সম্বল ১১ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা একদিন এই দেশের মানুষের জন্য তাজা রক্ত ঝরিয়েছি এই দেশের মানুষকে মুক্তি দিয়েছি স্বাধীন দিয়েছি আর আজ যদি আমাদের কে তাদের কাছে প্রতারনার শিকার হতে হয় তাহলে দেশের সাধারণ মানুষের ঠাই কোথায়, এটাই আমি ভেবে পাচ্ছি না। এ বিষয়ে সঠিক বিচারের জন্য প্রতিটি দপ্তরে আমি ন্যায্য বিচার পাওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি। আমার কষ্টের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য এবং প্রতারক সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হকের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় হাড়িভাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরে আলম এর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমি মোজাম্মেল হক মাস্টারকে তিনটি নোটিশ দিয়েছে সে আমার কথায় কোন সাড়া দেন নাই তাই শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান তার সুবিচারের জন্য প্রশাসনের শরণাপন্ন ওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।