ঠাকুরগাঁও- নিজস্ব প্রতিনিধি:
শেষ বয়সে ১ লাখ ৭০ টাকা ব্যয়ে ইটের ঘর পেয়ে খুশি হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগম। এই বাসগৃহ নির্মাণে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ এ্যাডমেনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা।
মঙ্গলবার দুপুরে এই গৃহ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নূরকুতুবুল আলম, আমিনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাগণ। জানা যায়, মর্জিনা বেগম ১০ বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে একমাত্র ছেলে আলম হোসেনের বাড়ীতে ঠায় নেন। কিন্তু করোনার কারনে কাজ হারিয়ে ঠিকমতো মায়ের মুখে দুমুঠো আহার তুলে দিতে পারেননি আলম।
নিজের শোবার জন্য ছিল একটি মাত্র মাটির ঘর, কিন্তু সেটিও ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙ্গে পড়ে। সেই ভাঙ্গা ঘরে বৃষ্টি পড়তো সেই ঘরেই ঘুমাতে হতো ৭০ বছর বয়সী মর্জিনা বেগমকে। মর্জিনা বেগমের আকুতি ছিলো জীবনের শেষ সময়ে সরকারের গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার।
আর সেই আকুতি পূরণে এগিয়ে আসেন জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ্যাডমেনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা। শেষে জেলা প্রশাসক সেলিম ওই বৃদ্ধার হাতে শীত বস্ত্র হিসাবে একটি নতুন লেপ তুলে দেন। মর্জিনা বেগম বলেন আমি এই গৃহ পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসকসহ সকল কর্মকর্তাদের দীর্ঘয়ু কামনা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেনমুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে আমি নিজে গর্বিত ও আনন্দিত। আলম কেঁদে কেঁদে বলেন ঘরের মধ্যে পানি পড়তো, সে ঘরেই ঘুমাতো মা।
জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মর্জিনা বেগমের বিষয়টি প্রকাশিত হয়।
পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসলে বাংলাদেশ এ্যাডমেনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার পক্ষ থেকে মর্জিনা বেগমের গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।