
মারুফ সরকার, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা একত্রিত হয়ে দুভোর্গ বয়ে এনেছে যমুনা পাড়ের শহর সিরাজগঞ্জের বাসিন্দাদের মাঝে। একদিকে যেমন তীব্র শীতে থমকে গেছে দিনমজুর, চাকরিজীবি, ক্ষেত-খামারে কর্মরত কৃষকদের স্বাভাবিক কাজকর্ম। অন্যদিকে ঘন কুয়াশা পাল্টে দিয়েছে যান চলাচলের দৃশ্যপটও। এছাড়াও তীব্র শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দিন দিন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহ যাবত জেলায় শীতের তীব্র প্রকোপ শুরু হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারী) জেলার কোথাও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। যাতে করে ছিন্নমূল মানুষগুলোর জীবনে ছন্দপতন নেমে এসেছে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে পথে-ঘাটে থাকা মানুষগুলো দুর্বিসহ দিনপার করছেন। বিশেষ করে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিকরা জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছে।
ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের ভীড় বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে জেলায় ৪২০ জন ডায়রিয়া এবং ৬৪জন শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর হাসাতালের মেডিকেল অফিসার ফরিদুল ইসলাম বলেন, শীতে তাপামাত্রা কমে যায়। এ সময় শিশুদের গরম কাপড় ব্যবহার, বাসি ও ঠান্ডা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। নইলে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া হতে পারে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান জানান, সরকারীভাবে বরাদ্দ জেলায় ৪৪ হাজার ১শত হাজার কম্বল জেলার ৯টি উপজেলায় বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও এনজিওসহ অন্যান্যবরাদ্দ বাবদ প্রায় ৪ হাজার বিতরন করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আরো ২০ হাজার কম্বলের জন্য চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে।