Subscribe our Channel

ঠাকুরগাঁও মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের  সভাপতিকে মারধোরের মামলায় ২ শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত 

রুহিয়া,ঠাকুরগাও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে সভাপতিকে  মারধোরের  ঘটনায় মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষক সহ  ৪  জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ফোজদারী মামলার আসামী হওয়ায়  প্রধান  শিক্ষক সহ শিক্ষকরা আত্বগোপনে রয়েছে। এদিকে গ্রেফতার  এড়াতে  কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত এনপিওভুক্ত ২ শিক্ষক। জানা গেছে,  ঠাকুরগাঁও  সদরের রুহিয়া মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন ওই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে কয়েক জনকে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর পূর্বে প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি তার পছন্দের লোককে চাকুরি দেওয়ার নিশ্চয়তা না দেখে নিয়োগ কার্যক্রম বিভিন্ন অজুহাতে পিছানোর চেষ্টা চালায়। এদিকে,  সরকার বেসরকারি স্কুল কলেজে শিক্ষক নিয়োগের নতুন নিতিমালা  জারি  করলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায়  সহ: প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক ও আয়া পদে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। সে আলোকে ৯ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে  প্রধান শিক্ষক তার মনোনীত লোকদের চাকুরি দিতে না পারায় আশঙ্কায়  পড়ে। প্রধান শিক্ষক চাকুরি প্রত্যাশি সতিশ চন্দ্র বর্মন, বিপ্লব চন্দ্র বর্মন লক্ষন ও সত্য গোপালকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং সভাপতিকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা আটে। এ অবস্থায় পূর্ব পরিকল্পনা মতে প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন গত ১২ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ টায় সভাপতিকে বিদ্যালয়ে ডেকে আনলে সকলে মিলে তাকে অফিস কক্ষে এনে তাকে ঘেরাও করে রাখেন ।

এসময় বিদ্যালয়ের সভাপতি তার সাক্ষর জাল করে শিক্ষক  কর্মচারীদের  বেতন ভাতা উত্তোলন ও সতীশ মাষ্টারের ভারত সফর ঠিক  হয়েছে কি না প্রশ্ন করলে তারা সকলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং নিয়োগ  কার্যক্রম  সম্পন্ন করতে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করেন। এতে সভাপতি সাংবাদিক  বিপ্লব রাজি না হলে তারা সকলে মিলে এলােপাথারী মারধোর  করে।প্রধান শিক্ষক হত্যার উদ্দেশ্যে নলকূপের হাতল দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা গুরুত্বর অবস্থায় ২৫০ শয়্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর খানিকটা সুস্থ হয়ে প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন সহ ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) রাতে থানা কর্তৃপক্ষ উক্ত মামলা রুজু করেন। এদিকে গ্রেফতার এড়াতে প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন  ও সহ: শিক্ষক সতীশ চন্দ্র বর্মন বিনা অনুমতিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত  থেকে  গা ঢাকা দিয়েছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১ টায় সরজমিনে বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে ওই ২ শিক্ষককে পাওয়া যায় নি। নির্মল চন্দ্র বর্মন নামে একজন শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু মুভমেন্ট রেজিস্টার বা দায়িত্ব প্রদান সংক্রান্ত রেজিস্টার দেখাতে পারেন নি। পরক্ষনে বিদ্যালয়ের সভাপতি তাতক্ষনিকভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রভাত চন্দ্র বর্মন নামে এক শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করেন। সভাপতি বদরুল ইসলাম বিপ্লব জানান, প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন ও সহ: শিক্ষক সতীশ চন্দ্র বর্মন বিনা অনুমতিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় তাদের কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হবে।সন্তোসজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক ফৌজদারী মামলার এজাহার নামীয় আসামী। তারা গত ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিল। এ ঘটনায় সভাপতি মহোদয় তাদের সোকজ করতে পারবে। তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্য কোন শিক্ষক জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *