Sunday, 16 March 2025, 2:03:40 pm

Subscribe our Channel

সরকারি বালিকা  উচ্চ বিদ্যালয়ের  এক  শিক্ষিকার  ভয়ে আতঙ্কে  ঠাকুরগাঁও জেলা  প্রশাসক

জসীমউদ্দীন  ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার ভয়ে পাহারা বসিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাহাবুবুর রহমান। ঐ শিক্ষিকার সাথে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিম্নপদস্থ ৪ নারী কর্মীর সাথে বাকবিন্ডার এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।সোমবার বিকালে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,মারজানা মিমি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (চারুকলা)। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী সহকারি শিক্ষক পদে যোগদান করেন। যোগদানের কিছুদিন পর থেকে তিনি নিয়মিত ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাতায়াত করেন। কখনও রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন স্বাক্ষাৎ করার জন্য। আবার কখনও ফুল নিয়ে যান জেলা প্রশাসককে উপহার দিতে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিম্নপদস্থ ৩ নারী কর্মী জানায় সম্প্রতি ঐ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে পুলিশ দিয়ে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। ঐ নারীর কারণে আমরা ভয়ে আতঙ্কে আছি। স্যার আমাদের বলেছে ঐ নারী কোন ভাবেই যেন প্রবেশ করতে না পারে। আজকে তিনি প্রবেশের চেষ্টা করলে আমরা বাধা দেই। এমন সময় তিনি চাকু উচিয়ে আমাদের ভয় দেখায়। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি বিদ্যালয়ে এসে ঠিকমতো বাচ্চাদের ক্লাসও নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে লেখাপড়া শেষ করেন। আমরা তো ভালোই দেখি। কিন্তু মাঝে মধ্যে যে কি হয় ? সেটা আমরা কেউ বলতে পারি না। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মারজানা মিমি এব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মোঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ওনি এখানে এসে অস্বাভাবিক (এ্যাবনরমাল) আচরণ করে। কেন আসেন সেটা আমি নিজেও জানি না। এব্যাপারে আমাদের একজন ডিউটি অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি। তাকে বলা হয়েছে ওনি কি বলতে চায় সেটা শুনবেন। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহানা খান বলেন মারজানা মিমি’র মাথায় সমস্যা আছে হয়তো। আমি বিষয়টি শুনেছি। তার বদলীর ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *