Subscribe our Channel

পঞ্চগড়ে ব্যক্তিগত ক্ষোভে নিরপরাধ ব্যক্তিকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে নিরপরাধ ব্যক্তিকে সাজা দেওয়ায়, সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানি সরদার এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। সোমবার(৬-ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটায় ঘটনাস্থলের পাশে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। এর আগে গত ১৬ ই জানুয়ারি ২০২৩ উপজেলার সুন্দরদ্বিঘী ইউনিয়নে ইট প্রস্তুুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ এর (৫)১ লঙ্ঘন আইনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানি সরদার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভুক্তভোগী মোঃ কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি মোঃ কামাল উদ্দীন ও আমার ভাই মোঃ আব্দুর রাজ্জাক গত ২৩/১০/ ইং তারিখের দলিল নং- ৫৭৪৪ এর মূলে ১৬ শতক জমি ক্রয় করি। যার দাগ নং- ২৪৫০।

ধরন ডাঙ্গা। জরুরি টাকার প্রয়োজনে উক্ত জমিটি স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সাহেব আলী, পিতা তমিজ উদ্দিন গ্রাম সুন্দরদিঘী ডাকঘর সুন্দরদিঘী থানা দেবীগঞ্জ জেলা পঞ্চগড় এর কছে ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বর্গা প্রদান করি। জমি’টি এক ফসলি হওয়ায় দুই ফসলি জমিতে রূপান্তরিত করার জন্য বর্গাচাষী কিছু মাটি কেটে জমি নীচু করে। এতে এবারই প্রথম ঐ জমিতে বুরোধান চাষ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে দেবীগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমি এর সাথে খারিজ সংক্রান্ত বিষয়ে সামান্য মনোমালিন্য হয়। আবার ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে লিখিত অভিযোগ হলে আমি গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে সংবাদ প্রকাশ করি। ফলে তিনি আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে জমিতে মাটি কাটার সময় উপস্থিত হয়ে আমাকে খুঁজতে থাকে। তিনি ভালো করে জেনে এসেছে ঐ জমির মালিক আমি। তা না হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বারবার আমাকে খুঁজতনা। তার পর আমাকে না পেয়ে আমার বাবা ও প্রতিবন্ধী চাচা’কে দোষী করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সাজা প্রদান করেন। এ সময় আমার ভাই বারবার বলে এই জমির মালিক আমরা দুই ভাই। কি সাজা দিবেন আমাকে দেন। তিনি কোন কথা শোনেন নি। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেন নি। এ সময় মোঃ কামাল উদ্দিন এর পিতা ও প্রতিবন্ধী চাচা বলেন, বার বার বলেও কোন কাজ হয়নি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস বলেন, তিনি কিভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন তাতে আমার হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই। ঐ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।ব্যক্তিগত আক্রোশের বসে যদি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে শাস্তি প্রদান করে থাকেন তবে তিনি ঠিক করেন নি। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয় জরুরি প্রয়োজনে অপরাধ থামানোর জন্য। আমরা চাইলেই তা পরিচালনা করতে পারি না। ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আপিল করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *