
পীরগঞ্জ নিউজ ডেক্স :
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গৃহ ভূমিহীন ভাড়াটে বাসিন্দা বিধবা সাবিনা ইয়াসমিন (৬০) এর নাতনি সুমাইয়া আক্তার (১২) মারাত্মক ব্যাধি কিডনি রোগে আক্রান্ত।
চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালীদের সহায়তা চায় তার পরিবার। সুমাইয়া একজন এতিম সন্তান, তার মা মানসিক প্রতিবন্ধী। নানির ভাড়া বাড়িতে তার জন্ম। গত ১৩ বছর পূর্বে তার মার সাথে সমেত আলী নামে এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়, বিয়ে হওয়ার তিন মাস পর থেকে আজ পর্যন্ত তার স্বামীর তার কোন খোঁজ খবরই পাইনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া আক্তার বি_আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ও একজন নৃত্য শিল্পী। নানীর বাড়িতে যার বসবাস, মা একজন মানুষিক প্রতিবন্ধী, নানী একজন গৃহকর্মী, নানীর উপার্জন ও মানুষের সহযোগিতায় যাদের সংসার চলে, ১ বছর ধরে দূরারোগ্যব্যাধী কিডনী রোগে ভুগছে সুমাইয়া। অসুস্থতার প্রথম দিকে জ্বর হয় ও শরীর ফুলে যেত এলাকা বাসির সহযোগিতায় ১৪/১৫ দিন ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর জ্বর ও শরীর ফুলা কমে যায়।
কিন্ত বর্তমানে করোনা মহামারীতে অর্থের অর্থের অভাবে চিকিৎসা ও খাদ্যপণ্যের জন্য মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এসময় মানুষের বাড়িতে কাজ করার সুযোগ না থাকার কারণে অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর নানী মরহুম আনসার আলীর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এর সাথে কাজে নেই না মানুষের সাহায্য-সহযোগীতায় তিন জনের সংসার ও নাতনির চিকিৎসা চালানো আমার পক্ষে অতি কষ্টের আমি এখনো কোনো সরকারি বা কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পায়নি আমার বয়স্ক ভাতা কিংবা মেয়ের প্রতিবন্ধী ভাতা পায় নি অনেক জায়গায় ধরনা দিয়েও তেমন একটা লাভ হয়নি আমার বসত ভিটা নাই আমাকে থাকার জায়গা ব্যবস্থা করে দেইনি আমি আমার শেষ সম্বল নাতির জীবন বাঁচাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে সুমাইয়ার সাথে কথা বললে জানাই যে আমি আবার স্কুলে যেতে চাই নাচের ক্লাসে যেতে চাই খেলতে চাই, স্বাভাবিক সুস্থ হয়ে বাঁচতে চাই, আমার জীবন বাঁচানোর জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ মোবাইল- ০১৭৭৫১৩৭৪৯৪ (সুমাইয়া আক্তার) বিকাশ নন্বর- ০১৭৯৪৮২০২৬১ (জাবেদ, প্রতিবেশী)