Subscribe our Channel

সেনাবাহিনী-র‌্যাব-বিজিবির কঠোর লকডাউনে দিনাজপুর : শহর ফাঁকা
 মোঃ নূর ইসলাম নয়ন, দিনাজপুর :
বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস রোধে এবং জনসাধারণকে সচেতন করতে দিনাজপুর শহর সহ ১৩টি থানায় অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‌্যাপিট অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ পুলিশ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন বাহিনী এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেটরা সকাল থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ৭ দিনের প্রথম দিন আজ। লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনের সকলে একযোগে মাঠে নেমেছেন। সকাল থেকে সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোন প্রকার দোকান, শপিংমল খোলেনি। অবাক হওয়ার বিষয় সেনাবাহিনী মাঠে থাকায় অটো ইজিবাইক চলতে দেখা যায়নি। যে ক’টি অটো ইজিবাইক চলেছে তা খাদ্যপণ্যের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-রেস্তোরা খোলা হলেও পার্সেল আকারে খাবার বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জনগণের দুর্ভোগ ঃ সবজি বাজার সহ অন্যান্য খাবারের দোকান খোলা থাকলেও বিপাকে পড়েছে বাজার করতে আসা জনসাধারণ। বাজার করার পর নেই কোন অটো ইজিবাইক বা অন্যান্য যানযাহন। তাই পায়ে হেটে বাজার থেকে পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে পথচারীদের। সবচেয়ে কষ্ট হয়েছে বৃদ্ধ মানুষদের। তারা বাজার হাতে করে পায়ে হেটে বাড়ি ফিরেছে যেটা অতি কষ্টের। শহরে জনসমাগম তেমন দেখা যায়নি।
তবে শহরের স্টেশন রোড, বাহাদুর বাজার, মর্ডাণ মোড়, চারুর বাবুর, মালদহপট্টি, মহারাজা মোড়, রেলবাজার, ফুলবাড়ী বাসষ্ট্যান্ড, মেডিকেল মোড়, পুলহাট শিকদারহাট বাজার, ফকিরপাড়া, ষষ্টিতলা, বালুয়াডাঙ্গা, পাহাড়পুর, কালিতলা, সুইহারীতে বেশি লোক সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও দিনমজুর, নি¤œবিত্ত, মধ্যবিত্ত তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। লকডাউন হওয়ায় তাদের কাজ বন্ধ। অসহায় মানুষের দাবী জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় সরকারের নিকট এই ক’দিন তাদের কাছে যে কোন ভাবে খাবারের ব্যবস্থা করা হউক বলে দাবী তুলেছেন। যারা কিস্তির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছেন কিংবা ছোট-খাটো ব্যবসা করার জন্য চড়া সুদে লোন নিয়েছেন তারা পড়েছেন মহাবিপাকে।
লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকায় তারা কিস্তির টাকা দিতে পারছেন না। জনসাধারণকে বিভিন্ন রকম হয়রানি করছে এনজিওর লোকেরা। এমন কোন নি¤œ কাজের কাজ নেই যা কিছু সংখ্যক এনজিও লোকেরা করছে না।
এদিকে এনজিও প্রতিনিধিরা জানান, আমরা নিরুপায় পেশার না দিলে টাকা উঠবে না এবং আমাদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের নিকট ভুক্তভোগীরা লকডাউন পর্যন্ত এনজিওদের কিস্তি আদায় বন্ধ ঘোষণার দাবি জানান। মোঃ নূর ইসলাম নয়ন, দিনাজপুর।
Close Popup

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *