Subscribe our Channel

নওগাঁর মহাদেবপুরে এনায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল

 কাজী সামছুজ্জোহা মিলন মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

 

২১ জুন ২০২১ নওগাঁর মহাদেবপুরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ নং এনায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, উপজেলা জুড়ে সর্বত্র আলোচনায় পঞ্চমুখ এনায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম মিরাজ উদ্দিন মিয়ার সুযোগ্য পুত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সফল সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান ইউনিয়নবাসীর হৃদয়ের মধ্য মনি, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর অহংকার, অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের আশ্রয়স্থল মেহেদি হাসান মিয়া। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়ন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

 

 

বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন সারা বিশ্ব চরম দুশ্চিন্তায়, সাধারণ মানুষেরা যখন দিশেহারা সেই চরম দুঃসময়ে ইউনিয়নবাসীর জন্য এগিয়ে আসলেন তিনি। শুরু করলেন প্রতিটি হাট-বাজার, গ্রাম গঞ্জে সচেতনতামূলক প্রচারণা, পোস্টারিং, লিফলেট, সাবান ও মাক্স বিতরণ। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

 

 

কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য নওগাঁ জেলার প্রথম ইউনিয়ন হিসেবে এনায়েতপুর ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল শুরু করলেন মানবতার ঘর নামে ক্ষুধার্ত মানুষের ঠিকানা। এলাকার মধ্যবিত্ত, ধনী ও সফল ব্যক্তিদের নিকট থেকে বিভিন্ন পণ্য সহযোগিতা নিয়ে বিলিয়ে দিলেন সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেখানে ছিল চাল, ডাল, আটা, চিনি, লবণ, তেল,আলু, সাবান সহ নানা নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিরায় মানবতার ঘরকে আদর্শের প্রতীক হিসেবে প্রতিটি ইউনিয়নে মানবতার ঘর চালু করলেন।

 

 

মানবতার ঘর চালু করায় অনবদ্য অবদান রেখে সকলের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন। শুধু তাই নয় চলতি অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের পাকা বাড়ি করে দেওয়ার জন্য মহাদেবপুর উপজেলায় ৭৬ টি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়।

 

 

এসব বিতরণও করা হয় সুফলভোগীদের মধ্য। কিন্তু মজার বিষয় ৭৬ টি পাকা ঘর বাড়ির মধ্যে ৬৮ টি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয় এনায়েতপুর ইউনিয়নে। যার অবদান ইউনিয়নের সফল চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিয়ার। সুধীজনেরা বলছেন প্রত্যেকটি ইউনিয়নে খাস জমি রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ঘরবাড়ি বিহীন লোক রয়েছে। কিন্তু অন্য কোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। যার সুফল পেয়েছে মেহেদী হাসান মিয়া।

 

 

এলাকার সাধারণ মানুষেরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। গত রবিবার ২০ জুন দুপুরে উপজেলার রোদইল মৌজায় নির্মিত পাকা বাড়ি বিতরণ কালে মেহেদি হাসান মিয়া জানান, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, দরিদ্র ও হতদরিদ্র, ভূমি ও গৃহহীন জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন জায়গা খালি করার ক্ষেত্রে। তারা দীর্ঘদিন খাস জমিতে বাড়িঘর করে বসবাস করত। স্থায়ীভাবে বসবাসের লক্ষ্যে তারা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন বলেই আজকে পাকা বাড়ি করা সম্ভব হয়েছে।

 

 

 

তিনি আরো বলেন আগামী দিনে যদি দলীয় মনোনয়ন পান তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তার সকল উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করায় হবে প্রধান চ্যালেঞ্জ। তিনি পুনরায় নির্বাচিত হলে তার ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে চান। এছাড়া মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, গৃহহীন ও ভুমিহীন মুক্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ইউনিয়ন গড়তে চান। এজন্য তিনি ইউনিয়নবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *