Subscribe our Channel

বীরগঞ্জ মোড়ে সীড ব্যবসায়ীর চুরি যাওয়া স্যালোমেশিন উদ্ধার হলেও চোর-লাফাঙ্গাদের দৌরাত্ম কমেনি

মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) নিজস্ব প্রতিনিধি :

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বীরগঞ্জ মোড় নামক স্থানে সীড ব্যবসায়ীর চুরি যাওয়া স্যালোমেশিন উদ্ধার হলেও চোরের বিচার না হওয়ায় এলাকার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন ধরনের পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে। প্রকাশ থাকে, ঠাকুরগাঁও জেলার জনৈক মোঃ শাহাজামাল একজন আর্দশ কৃষক ও সীড ব্যবসায়ী হওয়ার সুবাদে জমি বর্গা নিয়ে বীরগঞ্জ মোড় এলাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সেড তৈরি করে বীজ আলু, সবজি আলু, কুমড়া সহ নানা প্রজাতির আবাদ করেন।

 

সম্প্রতি কিছুদিন পূর্বে এই ব্যবসায়ীর সেড হতে অনেক গুলো বস্তা চুরি যায়, এর কদিন পর দোকান থেকে ১০ বস্তা আলু চুরি যায়, ২৫ কাঠা জমির মিষ্টি কুমড়ার প্লটের গাছ কর্তনের ঘটনার পর গত ৪ এপ্রিল রাতে শাপলা স্কুলের দক্ষিণের সেড হতে স্যালোমেশিন চুরি হয়। স্যালোমেশিন চুরির ঘটনা স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য পারুল সহ অনেককেই অবগত করা হয়।

 

খোঁজখুজির পর সেদিনই চুরি পথে নিয়ে যাওয়ার সময় চোরেদের অজান্তে মেশিন থেকে পরা পোড়া মবিলের চিহ্ন ধরে চোর সনাক্ত করা হয়। স্থানীয়রা সহ জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি সমন্ধে অবগত হলে এলাকার সইফুলের ছেলে শামিম (৩২)কে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে মেশিন চুরির কথা স্বীকার করে এবং মেশিনটি সরাসরি ফেরৎ না দিয়ে অন্যত্র কোথাও পৌঁছে দিবার শর্তে ছাড়া পেয়ে যায়।

 

সেদিন রাতেই চন্ডিপুরের ইউসুফের মাধ্যমে জানতে পেরে আদখানা ব্রীজের নিকটতম স্থান থেকে স্থানীয় সামসুল হক সহ কয়েকজন এলাকাবাসী মিলে স্যালোমেশিনটি উদ্ধার করে নিয়ে এসে ব্যবসায়ীকে পৌঁছে দেয়।

 

এ ঘটনায় ইতিপূর্বে এলাকায় আরো স্যালোমেশিন সহ বিভিন্ন চুরির মালামাল ফেরত না পাওয়া ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের মাঝে মন্তব্যের মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর অনেকেই জানান, চোরের নাম পরিচয় পাওয়ার পরেও স্থানীয় মাতবর চক্রের সাথে আতাত করে শর্তসাপেক্ষে চুরি যাওয়া স্যালোমেশিনটি এভাবে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রকাশ্যে চোরের উপযুক্ত বিচার দাবি করে এবং চোরকে বাঁচাতে সহযোগিতা কারীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত বিচারের দাবি জানায়।

 

উল্লেখিত স্যালোমেশিন চুরি ও মেশিন ফেরত পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে শাহাজামাল ও অত্র প্রজেক্টের কেয়ার টেকার ফিরাজুল জানান, এই এলাকায় নিজস্ব প্রজেক্টের মাধ্যমে জমি কন্ট্রাক নিয়ে সেড তৈরি করে ব্যবসায়িক ভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও সীড উৎপাদন করাকালীন এ ধরনের চুরিজনিত ঘটনার কারণে কয়েকদফায় তাদের আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে এবং পাশাপাশি দূঃস্কৃতিকারীদের দৌরাত্মে এই এলাকায় ব্যবসা পরিচালনায় বেশ ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *