Subscribe our Channel

বরগুনা জেলার তালতলিতে “কিশোর গ্যাংয়ের হামলার মূল মাস্টার মাইন দুই জন গ্রেফতার!

মোঃ জুয়েল হোসাইন, স্টার্ফ রিপোর্টার,

 

বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়ায় গত ১৪/০৭/২০২১ইং সকাল ১০ ঘটিকায় স্হানীয় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে মারাত্মকভাবে পেটে ছুরিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছে এক এসএসসি পরিক্ষার্থী। জখম হওয়া ঐ মেধাবী শিক্ষার্থী মোঃ হোসেন জমাদ্দার (১৭) স্হানীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবে।

 

 

 

ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, কড়ইবাড়িয়াতে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জামাল হাওলাদারের (৪৫) পুত্র খাইরুল হাং (১৮) ও তার ফুফাতো ভাই রিয়াজ হাং(২২) এর নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন, ইভটিজিং, প্রভাববিস্তারসহ নানা ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত। এসবের প্রতিবাদ করায় বেশকিছুদিন ধরে ঐ শিক্ষার্থীকে হুমকি দিয়ে আসছিল উক্ত গ্রুপটি। ১৪/০৭/২০২১ইং বুধবার পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে জামাল হাওলাদারের বাড়ির সামনে নিয়ে জামাল হাং ও তার স্ত্রীর প্রকাশ্যে মদদে খাইরুল হাং (১৮), রিয়াজ হাং (২২) সহ আরো ৮-১০ জন মিলে তাকে রড দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত শেষে গরু জবেহ করার ছুরি পেটে বিদ্ধ করে ঘুরাতে থাকে এতে তার বাম কিডনিতে মারাত্মক জখম হয়। একপর্যায়ে হোসেনকে মৃত ভেবে দ্রুত সটকে পড়ে।

 

 

 

 

আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতাল ও কলাপাড়া হাসপাতালে নেওয়া হলে উভয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত শেবাচিমে নেওয়ার পরামর্শ দেন। গত ১৪/০৭/২০২১ইং রাত ১১ঃ৩০ থেকে ৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত মেডিকেল বোর্ড গঠন করে রোগীর অপারেশন সম্পন্ন করলেও এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে। রোগীর শারীরিক অবস্থা জানতে শেবাচিম এর সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব (ড. জি এম নাজিমুল হক) বলেন রোগীর অপারেশন সুন্দর ভাবে হয়েছে। তবে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তালতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।তালতলি থানা মামলা নাম্বার -৭, দীর্ঘ দিন টালবাহানার পর কিশোর গ্যাংয়ের মূল মাস্টার মাইন দুই জন ১/ খাইরুল হাংওলাদার ২/ মোঃ রিয়াজ হাংওলাদার কে টানা দুই দিন অভিযান শেষে, ঢাকা মেট্রোপলিটন উওরের পুলিশের সহযোগিতায় আজ রাত আনুমানিক দশটার দিকে গ্রেফতার করা হয়।

 

 

 

এ দিকে এ খবর পেয়ে ভিক্টিম মোঃ হোসেন জোমাদ্দার এর মা অত্র মামলার বাদী (মোসাঃ রোকেয়া বেগম) বলেন, আমি আসামিদের রিমান্ড চাই। আসামিদের রিমেন্ট দিলেই মূল গুরু রহস্য সব বেরিয়ে আসবে, এবং তিনি আর দাবি করেন এ ঘটনায় আরও ৫/৬ জড়িত। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সকল ধরনের গোমড় বেরিয়ে আসবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। বাদী মোসাঃ রোকেয়া বেগম আর ও বলেন আইনের প্রতি আমাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে, আশা করি- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশ নেত্রী শেখ হাসিনার মধ্য দিয়ে বরগুনা আলোচিত কিশোর গ্যাং নয়ন বন্ড ও মিন্নির মত প্রকাশ্য হত্যার বিচারের যেহেতু তার পরিবার পেয়েছে, আমরা ও সঠিক বিচার পাব ইনশাআল্লাহ। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং খুব দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *