Subscribe our Channel

রাণীশংকৈলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মালিকানা নিয়ে মারামারি, দরজায় ঝুলছে দুটি করে তালা!

রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

 

 

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প ২এর আওতায় ঘরের মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হাসপাতালে তিন জন ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৮ নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাণী দিঘী পুকুরপাড়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এর আওতায় নির্মিত ঘর নিয়ে।জানাযায় সেই জমিতে প্রায় বছর দেরক আগে রংপুর থেকে এসে ইয়াকুব নামের এক ব্যক্তি সেখানে খাঁস জমির পজিশন ক্রয় করে বাড়ি নির্মান করেন।কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে তাকে জায়গা টি ছেড়ে দিতে হয়।

 

 

 

 

সেই জমির পজিশন টিতে বেশ কয়েক টি ঘর তৈরি করে ২ শতক জমির পরিমাণ ধরে।ঘর গুলোর কাজ প্রায় শেষের দিকে হওয়াই ৩টি ঘরের মধ্যে ইয়াকুব সহ স্ত্রী,মা তার দুই ছেলে ও মেয়ে জামাই বসবাস শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ করেই ঈদের আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে বসবাস রত আব্দুল খালেক নামের এক ব্যক্তি ইয়াকুবের সেই ঘরে তালা বদ্ধ করে চলে যায়।

 

 

পড়ে ইয়াকুব খালেকের কাছে জানতে চাই কেন তালা দিয়েছেন খালেক জানায় এটি তার ঘর। সেই সুত্র ধরে গত ২৪ জুলাই শনিবার আনুমানিক বিকাল ৫ টার সময় খালেক ইয়াকুবের ঘরে থাকা চকি সহ সব কিছু বের করে দিয়ে তিনি একটি চকি প্রবেশ করার জন্য সেখানে নিয়ে আসে।

 

 

এবিষয়ে ইয়াকুবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,খালেক ও তার ছেলে জামাই সহ প্রায় দশ বারো জন আমার পরিবারের উপর হামলা করে খুব খারাপ ভাষায় গালাগালি করলে আমার জামাই বাধা দেয় তখন তারা আমার জামাইকে ধরে ফেলে তখন আমিও আমার ছেলে বউ তাদের এগিয়ে গেলে তারা আমাকে সহ আমার স্ত্রীকে বেধড়ক ভাবে কিল ঘুষি মেরে আঘাত করে এবং কথায় কথায় খালেক বলে আমি টাকা দিয়ে ঘর নিয়েছি তুই এই ঘরে থাকবি কেন ঘর ছেড়ে দে।ইয়াকুব তখন বলে আমাকেউ এখনো ঘর বুঝে দেয়নি সরকার যখন তোমাকে দিবে তখন তুমি তোমার ঘর নিয়ে নিও আমি ছেড়ে দিব।

 

 

 

তারপর ও খালেক ও তার পরিবারের দশ বারো জন লোক নিয়ে কেন এই মারামারি করলো আমি জানি না। এবিষয়ে স্থানীয় কয়েক জন জানায় মারামারি করার সময় তারা এগিয়ে এসে ইয়াকুবের পরিবার কে রক্ষা করে এবং তার স্ত্রীকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান।অপর দিকে খালেকের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান আমি ঘরের জন্য স্থানীয় এক সাবেক মেম্বার কে আমি কাগজ জমা দিয়েছি এবং সেই মেম্বারের কথায় আমি ঘর দখল করে, ঘরে তালা দিয়েছিলাম কিন্তু ইয়াকুব আমার ঘরের সামনে থাকা চকি টি বাহিরে ফেলে দিয়ে আমার দেওয়া তালা ভেঙ্গে দেয় আমি বাধা দিতে গেলে।আমার উপর চরাউ হয়ে মারমারি শুরু করে দেয়।

 

 

 

এবং আমার দুই টি ছেলে কে মারধর করে আহত করে পরে তাদের দুই জন কে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন এখানে যারা সরকারি ঘর দুই তিন টা করে ঘর দখল করেছেন তারা বেশির ভাগ মানুষ ভুমিহীন না জমি ও ইটের বাড়িও আছে তাদের।কিন্তু তারাই এখানে ঘর দখল করেছেন কিভাবে ।

 

 

আমার মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছি তারা একবারে ভুমিহীন তারা বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।আমি মেয়ে জামাইয়ের জন্য একটা ঘর চেয়ে ছিলাম কিন্তু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেছে ঘর নাই।তাই আমি বলতে চাই এখানে কোন আসল ভুমিহীন পরিবারের লোক খুব কম ঘর দখল পেয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কে বা কাহারা কিছু ঘরে দুই তালা দিয়েছেন।

 

 

 

অনেকে বলছে এগুলো দুই পরিবার দু টি তালা দিয়েছেন।দুইটি তালা ঘরে ঝুলছে এমন একটি ঘরের দখল দার, আব্দুর রশিদ জানায়, আমি প্রায় বারো দিন থেকে এই ঘরে বসবাস করে আসছি কিন্তু আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরে তালা দিয়ে কাজের জন্য চলে যাই কিন্তু দুপুরে এসে দেখি কে বা কাহারা আমার ঘরে আরো একটি তালা দিয়ে গেছে তা আমি জানিনা।

 

 

 

এবিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি একটি নিছক ভুল বুঝাবুঝি যারা এই মারামারির ঘটনা টি ঘটিয়েছে আমরা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্তা গ্রহণ করবো।

 

 

আমরা প্রতিটি ঘরের সম্পন্ন কাজ শেষ করেই আমরা নিজে তালা দিয়ে আটকে দিব তারপর লটারি করে ঘর বরাদ্দ দিব এবং যে যেখানে পাবে লটারির মাধ্যমে তাদের সেখানেই ঘর নিতে হবে।

 

 

 

আর যদি কারো জমি ও ঘর থাকার পর ও সেখানে ঘর নিয়ে থাকেন।তাদের কে বাদ দিয়ে আমরা আসল ভুমিহীন পরিবারের নামে সে ঘর তালিকা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *