Subscribe our Channel

ঠাকুরগাঁওয়ে মিলছে না ’প্যারাসিটামল’ জাতীয় ঔষধ

আল ফয়সাল অনিক, নিজস্ব প্রতিবেদক- ঠাকুরগাঁও:

 

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে ঋতু পরিবর্তনের জন্য গ্রামে-গঞ্জে মানুষের মাঝে ঠান্ডা জ্বরের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। আর অপরদিকে ঠান্ডা জ্বরের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রধান হাতিয়ার ’প্যারাসিটামল’ ঔষধসংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় ফার্মেসীগুলোতে মিলছে না নাপা, এইচ ট্যাবলেটসহ ঐই গ্রুপের অন্য কোন কোম্পানীর ঔষধ। এতে ফার্মেসীতে ঔষধ না পেয়ে রোগী ও রোগীর স্বজনরা হতাশ হয়ে ফিরছেন বাড়িতে।

 

 

 

 

ক্রেতাদের দাবি করোনা ভাইরাসের প্রভাব বৃদ্ধিতে অধিক লাভের আশায় ফার্মেসী মালিকদের এই কৃত্রিম সংকট। অপরদিকে কৃত্রিম সংকট নয়, কোম্পানীর পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এবং এক যোগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সাময়িক এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন ফার্মেসী মালিকেরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সারা দেশের ন্যায় রুহিয়ায় করোনা পরিস্থিতির অবণতি হয়েছে। সেই সাথে ভাইরাস জনিত ঠান্ডা, কাশি, জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ফার্মেসীগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে।

 

 

কিছু ফার্মেসীতে এই ঔষধ পাওয়া গেলেও দ্বিগুন দাম নিচ্ছেন এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। পাঁচ বছরের ছেলে জ্বরে আক্রান্ত। তাই রুহিয়া ছেলের জন্য ঔষধ নিতে এসেছেন আজগর আলী।

 

 

 

ঔষধ না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত তিনি। রুস্তম নামে আরেক জন বলেন, রুহিয়ায় ’প্যারাসিটামল’ গ্রুপের ভালো কোম্পানীর ঔষধ পেলাম না। লগডাউনের জন্য জেলা শহরে যাবো তারো উপায় নাই। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। এ বিষয়ে ফার্মেসীর মালিকরা জানায়, বর্তমানে মানুষের মাঝে ঠান্ডা, জ্বর, কাশির প্রকোপ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। আমাদের চাহিদার তুলনায় কোম্পানীগুলো আমাদের ঔষধ সরবরাহ করতে পারছে না।

 

 

 

 

বিশেষ করে নাপা ট্যাবলেট, নাপা সিরাপ, এইচ ট্যাবলেট ও এইচ সিরাপ এর চাহিদা অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় কয়েকগুন বেড়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ’প্যারাসিটামল’ গ্রুপের ঔষধ প্রথম সারির প্রায় সকল কোম্পানী সরবরাহ করছে না। ফলে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্ধারিত দামের চেয়ে অর্থাৎ এমআরপি’র বাইরে ঔষধ বিক্রি করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ঔষধের দোকানগুলোতে গোপনে তদারকি করবো।

 

 

 

 

কোন ফার্মেসীতে এই ঔষধগুলো বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *