
মোঃ তোতা মিয়া ব্যুরো প্রধান :
পঞ্চগড় তেতুলিয়া উপজেলায় মিয়াজাকি বা সূর্য ডিম আম যেটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ও পুষ্টিসমৃদ্ধ আমের প্রজাতি হিসেবে পরিচিত। জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলের এ আম প্রথমবারের মতো চাষ করে সফল হয়েছেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মাগুরা গ্রামের আম চাষি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহবুবুর রহমান ।
সে এ এলাকায় ১৯ বিঘা জমিতে আমের বাগানে সূর্যি ডিম ৩০০ টি চারা লাগিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফলন তুলতে সফল হয়েছেন । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমের গাছে ঝুলছে লাল ও সিঁদুরী রং এর আম।
পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু কিছু গাছে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাকিং পদ্ধতি। মুকুল আসা থেকে ফলন ছেঁড়া পর্যন্ত আমের যত্ন নেয়ায় কোন কমতি ছিলনা ।

তাই অন্যান্য বাগানির চেয়ে তার ফলের চাহিদা ও গুণগত মান অনেক ভালো থাকে। তেঁতুলিয়ায় সূর্যি ডিম আমের প্রথম চাষ হয় তার হাত ধরে। বাংলাদেশ ও ভারত বর্ষে এটিকে সূর্যি ডিম বা লাল আম বলা হয়ে থাকে।
বিশ্বের অন্যান্য আমের চেয়ে এ আমের বাজার মূল্য যেমন বেশি তেমনি পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৭ সালে সূর্যি ডিম আমের মাতৃচারা সংগ্রহ করেন ডাটা থেকে।
২০২০ সালে প্রথম ফলন হয়। গত বছরের তুলনায় এবছর ফলন বেশি হয়। প্রতি কেজি আম বিক্রি করছেন অন্য আমের চাইতে বেশি। এবার এক টনের মতো ফলন পাবেন এবং তা বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছেন তিনি । সূর্যি ডিম আমের চাষ সম্প্রসারণ সম্পর্কে আরও বলেন, এ আমের যে বাজার মূল্য ও চাহিদা তা দিন দিন বাড়বে।
উচ্চমূল্যের এ ফলের চারা পঞ্চগড়ে ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা তার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাতৃচারা কলমের কাজ চলমান রয়েছে । তেতুলিয়া কৃষি অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সূর্যি ডিম আমের চাষ মাতৃচারা উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।
যদি এটি করা যায় তাহলে এ অঞ্চলের ফলদ বাগানের সাথে সম্পৃক্তদের জীবনমান পাল্টে যাবে। কারণ আমের উচ্চ মূল্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশ কদর রয়েছে।