
জুয়েল ইসলাম রংপুর প্রতিনিধি :
রংপুরের তারাগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২১ উপলক্ষে উপজেলা অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (১জুন) মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে ইকরচালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দুপুর ১২টায় ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৫ জুন থেকে ১৯ জনু পর্যন্ত তারাগঞ্জের ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
১৯ হাজার শিশুকে এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) আব্দুস সালাম বলেন, অন্ধত্বের চারটি প্রধান কারণের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত কর্ণিয়ার রোগ ও কর্ণিয়ার ক্ষত অন্যতম। এই ভিটামিনটির অভাবে শিশু রাতকানা হয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ভিটামিন ‘এ’ ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ করে। দেহ বৃদ্ধি, বিশেষ করে দেহের অস্থি কাঠামোর বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’-এর সংযোগ রয়েছে।
সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোছা. শামছুন্নাহার বলেন, শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো খুবই জরুরি। অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তানকে যেন অবশ্যই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
ভিটামিন ‘এ’ জীবাণু সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে। শিশুর রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ প্রতিরোধ করে।
এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তিনি আরও বলেন, শিশু জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে মাকে তাঁর বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাস পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো যাবে না।
ছয় মাস পুর্ণ হলেও অবশ্যই বুকের দুধের পাশাপাশি সুষম খাবার দিতে হবে। প্রাণিজ খাবার ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ তেলের রান্না খাওয়াতে হবে।
এ ছাড়াও সভায় বক্তব্য দেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ, ইকরচালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পরিতোষ রায়, ওই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারী শাহ্ মোঃ শামীম হোসেন।