
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ৪ মে ২০২১ তরিখে অনলাইন বার্তাবাজার ডট কম-এ ‘ভুয়া কাবিননামায় একের পর এক বিয়ে তথ্য সেবা কর্মচারীর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এ বিষয়ে আমার বক্তব্য হলো, আমার বড় মেয়ে মোছাঃ রোমানা সারমিন তার ভূলের অজান্তে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ২৮৯/২০ নং রেজিঃ মূলে নোটারী পাবলিক, পঞ্চগড়ে একখানি এফিডেভিট করেন। অতঃপর আমার মেয়ে তার ভূল বুঝতে পেরে পরিবারবর্গকে সে কথা জানিয়ে গত ২ মে ২০২১ তারিখে ১৫১৯/২১ নং রেজিঃ মূলে নোটারী পাবলিক, পঞ্চগড়ে উক্ত বিবাহের এফিডেভিট স্বজ্ঞানে বাতিল ঘোষণাপত্রে সহি সম্পাদন করে ছেলেকে স্বামী থেকে বিচ্ছেদ করে দেয়।
এরপর আমরা মেয়ে ও ছেলে পক্ষ উভয়ে গত ৩ মে ২০২১ তারিখে উপজেলার ৬নং ভজনপুর ইউপির ভুতিপুকুর গ্রামের মোহসিনের বাড়িতে পঞ্চায়েতি বৈঠক বসে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের উপস্থিতিতে ও সম্মতিতে একখানা আপোষ করে নিই।
আমরা মেয়ে ও ছেলে উভয় পক্ষ আপোষ মিমাংসা করিবার পর শান্তিতে বসবাস করতে থাকিলে এরই মধ্যে একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল ইর্ষান্বিত হয়ে উক্ত মিমাংসীত ঘটনার রেশ ধরে আমার মেয়ের নাম ভাঙিয়ে ছেলের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে চাঁদা দাবি করেন। অতঃপর ছেলে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল উক্ত অনলাইন পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদকের সাথে শলাপরামর্শ করে ‘ভুয়া কাবিননামায় একের পর এক বিয়ে তথ্য সেবা কর্মচারীর’ শিরোনাম প্রকাশ করান। যাহা প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
একারনে যে, ছেলে এবং মেয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ২৮৯/২০ নং রেজিঃ মূলে নোটারী পাবলিক, পঞ্চগড়ে একখানি এফিডেভিট সম্পাদনের মাধ্যমে বিবাহ করেন তাহারা কোনো কাবিননামা মূলে বিবাহ করেন নাই। কিন্তু তথাকথিত নামধারী এই প্রতিবেদক/সাংবাদিক গত ০৪ মে ২০২১ তারিখে তাহার প্রকাশিত সংবাদে ভুয়া কাবিননামা কথাটি উপস্থাপন করেন যাহার কোনো অস্তিত্ব নেই এবং আমার মেয়ের নাম উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশ করেন।
তথাকথিত নামধারী এই প্রতিবেদক/সাংবাদিক স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহলের কথা মতে উক্ত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদে আমার মেয়ের অপূরণীয় মান মর্যাদা এবং সম্মানের হানী ঘটেছে যাহা আর্থিকভাবে কোনো ক্রমেই পুষিয়ে নেওয়া সম্ভবপর নহে বিধায় উক্ত সংবাদের ভিত্তিহীন লিখনীর জোরদার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক(মেয়ের বাবা) পিতা- মৃত আব্দুল হামিদ গ্রাম- হারাদিঘী, উপজেলা- তেঁতুলিয়া জেলা- পঞ্চগড়।