
মোঃ তোতা মিয়া পঞ্চগড় :
সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় পৌষ মাস শুরু হলেও তীব্র শীত অনুভূত হয়নি। তবে গত দুই দিন যাবৎ আকাশ মেঘলার কারণে শীতের দাপট একটু বেড়েছে। তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে ভিড় বেড়েছে শীতের কাপড়ের দোকান গুলোতে। পুরাতন কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ একটু বেশি। কম দামের কারণে। বিত্তবানরা অভিজাত শপিংমল ও বিপণিবিতানে ছুটলেও নিম্ন মধ্যবিত্তদের অনেকেই ফুটপাতের পুরাতন কাপড়ের দোকান গুলোর দ্বারস্থ হচ্ছেন বেশি। গতকাল পঞ্চগড়ের বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। গরম কাপড়ের সমারোহ ঘটেছে বিপুল পরিমাণে।
সেই সঙ্গে ক্রেতাদের উপস্থিতিও ছিল ব্যাপক দোকানিরা জানিয়েছেন, ফুটপাত ও মার্কেটগুলোতে,উলের পোশাক, ব্লেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট,চাদর,মাফলার, কানটুপি সহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র সরবরাহ হচ্ছে। বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত ও মার্কেটের দোকান গুলোতে নতুন /পুরাতন শীতের কাপড় বিক্রি চলছে। এসব দোকানে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০-৫০০টাকা দামের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। শিশু ও বৃদ্ধদের কাপড়ের চাহিদা সবচাইতে বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
খোকা মিয়া নামের এক দোকানি বলেন, এক সপ্তাহ আগেও শীতের কাপড়ের চাহিদা কম ছিল। গত দুদিন ধরে শীত বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে। সারা বছর অন্য আন্য কাপড় বিক্রি করি। শিত আসলে শুধু শীতের কাপড় বিক্রি করি। পুরাতন শীতের কাপড় বিক্রিতে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ বলে জানান এই দোকানি। ফুটপাত মার্কেট ফুটপাত ব্যবসায়ী মোঃ আকবর আলী বলেন, আমাদের মার্কেটে নিম্নআয়ের মানুষ বেশি আসেন।
তাদের চাহিদার উপর নির্ভর করে আমরা পুরাতন শীতের কাপড় উঠিয়েছি। এবার বিক্রিও ভালো হচ্ছে। রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, সামান্য বেতনের চাকরি করি। বড় মার্কেটে গিয়ে শীতের কাপড় কেনার সাধ্য নেই। তাই ফুটপাত মার্কেটে এসে কম দামে পুরাতন কাপড় কিনলাম।
তবে মনে হচ্ছে এবার কাপড়ের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। আরেক ক্রেতা বলেন ব্যাপক ঠান্ডা বেড়েছে। বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম। আমাদের সাধ্য যেমন সাধও তেমন, তাই ফুটপাত থেকেই কিনছি।