
বিনোদন প্রতিবেদক:
দেশের তারকাদের ধর্ম পালন নিয়েও তাদের ভক্তদের অনেক কৌতূহল। ফলে মুসলিম তারকারাও রোজা রাখেন। এতে রোজা নিয়ে শুটিং করেন, তারা ব্যস্ত থাকেন নানা রকম ধর্মীয় প্রার্থনায়। এছাড়া আর সবার মতো তাদেরও আছে রোজা রাখার অনেক মজার স্মৃতি। তাদের ভিড়ে ছোট পর্দার তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়ক নিরব হোসেন জানালেন রোজা নিয়ে তার দর্শন ও উপলব্ধির কথা। নস্টালজিক হয়ে মজার ছলে বললেন শৈশবে রোজা রাখার অনেক গল্প।
বলেন পীরগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস: কবে প্রথম রোজা রাখা হয়? তাদের সেহরী খাওয়া, ইফতার খাওয়ার আনন্দে দেখে আমারও মনে হতো যে রোজা রাখা উচিত৷ এটা বোধহয় খুবই আনন্দের একটা ব্যাপার। মূলত তাদের অনুসরণ করেই আমি রোজা রাখা শুরু করি। পীরগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস : শৈশবের সেহরী- ইফতারের মজার কোনো স্মৃতি নিরব : অনেক স্মৃতি আছে৷
বলে বলে শেষ করা যাবে না৷ প্রথমত ছোটবেলায় ইফতার ও সেহরীতে কি খাবো এই যে প্ল্যানিংটা করতাম এটার মধ্যে একটা উৎসব কাজ করতো৷ ভাইবোন মিলে প্ল্যান করতাম আজ ইফতারে কি খাবো, সেহরীতে কি খাবো৷ সেগুলো খুব মনে পড়ে প্রায়ই। ছোটবেলায় ইফতারে অনেক খাবারের সমাহার করতাম৷ বন্ধুদের নিয়ে কৈশোরে অনেক মজা করে ইফতার করতাম। অনেক রকম ভাজাপোড়া এনে তার সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় খাবার মিশিয়ে খেতাম।
সেহরীতে ভাবতাম যত বেশি খেতে পারবো ক্ষিধা ততো কম লাগবে৷ভাত খেতাম। সবার চেয়ে বেশি খাওয়ার টেন্ডেন্সি কাজ করতো যেন রোজা রেখে কষ্ট না হয়৷ এখন ভাবলে হাসি পায়৷ পীরগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস : সেহরী- ইফতারে কী ধরনের খাবার থাকে? আপনার প্রিয় মেন্যু কি? আবার কোনোদিন একটু হালিম দিয়েই ইফতার করি৷ একেকদিন একেকরকম। পীরগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস : শৈশব ও বড় বেলার রোজা রাখার মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান নিরব : অনেক পার্থক্য৷ ছোটবেলায় রোজা নিয়ে উত্তেজনা কাজ করতো৷ ছেলেমানুষি। বুঝে বা না বুঝে ভুল করে ফেলা।
কিন্তু এখন তো পুরো এক মাস সিয়াম সাধনার একটা সিরিয়াসনেস কাজ করে৷ নামাজ পড়া, নানা রকম ইবাদত৷ গরীবদের পাশে দাঁড়ানো৷ একটা দায়িত্ববোধ কাজ করে মুসলমান হিসেবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য৷ পীরগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস : রোজায় আপনার উপলব্দি কী যা সবার উদ্দেশ্যে বলতে চান নিরব : সবকিছুতেই সংযমী হওয়া। কথাবার্তা, আচরণা । নিজের মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখতে পাই।
সেইসঙ্গে না খেয়ে থাকার কষ্টটা ফিল হয়। মনটা নরম হয়। ভাবি যে যারা দিনে একবেলা বা না খেয়ে দিন পার করে তাদের কষ্টটা কেমন! চেষ্টা করি চেনাজানা বা কাছের দূরের দরিদ্র অসহায় মানুষদের খাওয়ানোর৷ খুব ভালো লাগে৷ আর গেল বছর থেকে যে বিষয়টা উপলব্ধি করছি তা হলো পরিবারের সঙ্গে রোজা কাটানো। বাকিগুলো হতো বাইরে৷ গত বছর থেকে পরিবারের সবাইকে সঙ্গে রোজাগুলো পালন করতে পারছি৷ আমার মেয়েরা আমাকে নিয়মিত কাছে পাচ্ছে।
পীরগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস : সিনেমার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে জানতে চাই নিরব : করোনা পরবর্তী সময়ের আগে সৈকত নাসিরের ‘ক্যাসিনো’ সিনেমায় কাজ করছিলাম। যেটাতে আমি আর বুবলী। এটা তৈরি সিনেমা। মুক্তির অপেক্ষায় আছে। তারপর বন্ধন বিশ্বাসের সরকারি অনুদানের একটা ছবি করলাম ‘ছায়াবৃক্ষ’।
এছাড়া মাঝে করলাম আসিফ ইকবালের ‘চোখ ’, যেটাতে আমি আর বুবলী। এদিকে রাজবাড়িতে গিয়ে রোজিনা আপার ছবি করলাম আমি আর র্স্পশিয়া ‘ফিরে দেখা’। দেশের লকডাউনের আগে ৭০% কাজ শেষ করলাম অনন্যা মামুনের ‘অমানুষ’। বেশ কিছু সিনেমাই আছে সামনে মুক্তি পাবে।
এমনকি অন্যদিকে সৈকত নাসিরের ২টা ছবি সাইনিং করা আছে। একটা হচ্ছে ‘ঢাকা এক্সপ্রেস’ আরেকটা হচ্ছে ‘ক্যাশ’।