
ফাইল ছবি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. ইলিয়াস আলীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও তার প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার (জেলা প্রশাসক) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে তার প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।ইলিয়াস আলীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. শামসুর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল হক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বাহাউদ্দিন আহমেদ।
ইলিয়াস আলীর আইনজীবী জানান, সংসদীয় আসনে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের সইসহ সমর্থন সূচক তালিকায় গরমিল থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ৮ জানুয়ারি বগুড়া-৪ আসনে ইলিয়াস আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন, যা ১২ জানুয়ারি নামঞ্জুর হয়। পরে ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট করেন।আইনজীবী মো. শামসুর রহমান বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ইলিয়াস আলীর করা আপিল নামঞ্জুরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ফলে ওই আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আইনি বাধা নেই।দলীয় সিদ্ধান্তে বগুড়া-৪ আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় এ আসনটি শূন্য হয়। পরে নির্বাচন কমিশন ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করে।এদিকে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের শরীক জাসদের (ইনু) মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শাহীন মোস্তফা কামাল, জাকের পার্টির আব্দুর রশিদ সরদার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের তাজ উদ্দিন মণ্ডল, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম, কামরুল হাসান সিদ্দিক জুয়েল ও আব্দুর রশিদ।এর আগে ওই আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হিরো আলমের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে ও তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান হিরো আলম। এর একদিনের মাথায় পৃথক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুই প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। তারা হলেন, সরকার বাদল ও ইলিয়াস আলী।