
আব্দুল করিম আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের আটায়ারীতে সয়ন(২৬) হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজনেরা। সোমবার ( ১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন আটোয়ারী -রুহিয়া পাকা সড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নিহত সমিউল ইসলাম সয়ন উপজেলার ছোটদাপ গ্রামের বাসিন্দা কসমেটিক্স ব্যবসায়ী মোঃ রবিউল হকের মেঝ ছেলে । বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচিতে সয়ন হত্যার খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, শয়নের পিতা রবিউল হক, মাতা সেলিনা আকতার, ছোটভাই সুজন,শয়নের বন্ধু সাজেদুল ইসলাম সুমন, মাসুদ পারভেজ, লিয়ন, সাইদুর,শুভ,রাব্বু,ফারুক,শাওন প্রমুখ। বক্তব্য শেষে খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপির অনুলিপি আটোয়ারী থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পরিবারের স্বজনরা।
উল্লেখ্য,গত ৬ সেপ্টেম্বর সামিউল ইসলাম সয়ন(২৬) এর পুর্ব পরিচিত বন্ধু ঠাকুরগাঁও জগন্নাতপুর আদর্শ কলোনীর বাসিন্দা আঃ রউফ এর পুত্র মুন্না (৩০) সহ দুইজন মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মুল গেটে আসে। সেখান থেকে শয়ন কে মোটর সাইকেলের মাঝখানে বসিয়ে রুহিয়ার দিকে যেতে থাকে। আটোয়ারী পল্লীবিদ্যুৎ মোড় পার হয়ে বড়দাপ কোনপাড়া এলাকায় ইব্রাহিম আলীর বাড়ীর সামনে আটোয়ারী – ঠাকুরগাঁও পাকা সড়কে তাদের পুর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সয়নের মাথায় আঘাত করে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্ত বন্ধুরা। এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে আটোয়ারী হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক সয়নের অবস্থা দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। প্রায় এক ঘন্টা চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রংপুর রেফার্ড করেন। সয়ন রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় ০৮ সেপ্টেম্বর রাত ১২:০৩ মিনিটে মৃত্যু বরণ করে। সয়নের লাশ ময়না তদন্তের পর ০৯ সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব ছোটদাপ গোরস্থান সংলগ্ন মাঠে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এব্যাপারে আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, সয়ন হত্যার খুনীদের গ্রেফতার করতে শুধু পুলিশই নয় আরো অন্যান্য বাহিনী কাজ করছে। যেহেতু খুনী চিহ্নিত হয়েছে। দেশে থাকলে তাকে গ্রেফতার হতেই হবে।