
পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের মানুষ চায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা । যেমনটি অভিযোগ করেছেন পঞ্চগড় আটোয়ারী উপজেলার লতিঝারি গ্রামের মৃত হরিলাল চন্দ্র বর্মন,এর পুত্র ইউপি সদস্য পরেশ চন্দ্র বর্মন। পরেশ চন্দ্র বর্মন জানান গত ০৫/১১/২০১৯ ইং তারিখে সরকারি জমি লিস নেন তিনি, যার দলিল নং-৩৮৯০/১৯ , দাগ নং-৭১২, খারিস খতিয়ান নং-৬৬৭, মৌজা-লতিঝারি, জে, এল নং-১২ , এর মধ্যে মোট জমির পরিমাণ-১৫ শতক, যার ডিসিআর নং- এসি-১৪/২০২১-২০২২, তারিখ ০৮/১২/২০২১ ইং। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ নং-৩২৬৮১৭, বাংলা সন -১৪২২-১৪২৮, তারিখ-০৬/০১/২০২২ ইং এর মধ্যে পরেশ চন্দ্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত গ্রহণ করেন। পরেশ চন্দ্র বর্মন। গত ২০০১ ইং তারিখ থেকে ভোগ দখল কড়ে আসছে। এবং সেই জমির উপর কৃষি এবং মাছচাষ কড়তেন।২০১৯ সালে পরেশ চন্দ্র বর্মন জমি ভরাট করে রাস্তার পাশে দোকান ঘর নির্মাণ করে এবং পিছনের জমি কৃষি কাজে ব্যবহার করে। ইতিমধ্যে ১৯/১১/২০২২ ইং তারিখে স্থানীয় ইউপি ভোট আসলে ইউপি সদস্য হিসেবে পরেশ চন্দ্র বর্মন টাকা দাখিল করে এবং ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরেশ চন্দ্র, জয়লাভ করেন। পরেশ চন্দ্র জয়লাভের পর তার ভাগ্যে নেমে আসে কালবৈশাখীর ঝড়। পঞ্চগড় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এর আত্মীয়, রবি লাল চন্দ্র বর্মন, সুশীল চন্দ্র বর্মন, ধনেষ চন্দ্র বর্মন এরা। পরেশ চন্দ্র বর্মনের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাই এরা স্থানীয় কিছু লোকদের কাছে সাক্ষর নিয়ে, পরেশ চন্দ্র বর্মন, এর নিকটতম নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরেশ চন্দ্র বর্মন, কে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডাকে। , সাক্ষাৎ করলে পরেশ চন্দ্র বর্মনকে নির্বাহী অফিসার বলেন যে, আপনি খাস মাটি জবর দখল করে খাচ্ছেন। এ কথা বলার পর পরেশ চন্দ্র বর্মন, তার বৈধ কাগজপত্র দেখালে ইউএনো , গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সামনে পরেশ চন্দ্রকে, অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে, যার অনেক প্রমান আছে। পরের দিন নির্বাহী অফিসার এবং চেয়ারম্যান দুজনে মিলে পরেশ চন্দ্র বর্মনকে, ডেকে বলে ওই জমি (১৫ শতক) এর পরিবর্তে অন্যখানে (৫০ শতক) জমি দেওয়া হবে তুমি সেখানে যাও। কিন্তু ভাববার বিষয় যেই জমির কোন ভ্যালু নেই সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গামন্দির রয়েছে সেখানে যেতে পরেশ চন্দ্র বর্মন অস্বীকার করেন। পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন আমি তা অস্বীকার করলে, এরই মধ্যে আমার বাড়িতে রাত ১,৩০ টার সময় পুলিশ আমাকে খুঁজতে যায়।
পুলিশ আশায় এলাকাবাসী এবং আমি আতঙ্ক হয়ে পরি। এরই মধ্যে নির্বাহী অফিসার সরকারের ব্লামবই যা পরেশ কে বুঝতেই দেয় নাই, সেখানে হাতে কলমে লিখে কি লিখেছে তাও পরেশ জানেনা, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পরেশ চন্দ্র বর্মনের দলিলটাকে বাতিল করে। যেখানে দলিল, খারিজ, ডিসিআর দাখিলা সহ খতিয়ানে উল্লেখিত আছে যে, জমির শ্রেণি রাস্তা, উপজেলা সেটেলমেন্ট থেকে লিখা জমির শ্রেণি ডাঙ্গা। এদিকে পরেশ চন্দ্র বর্মন জানান, সরকারি বিভিন্ন কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে আমার মেম্বার পদ খেয়ে ফেলবে বলে হুমকিও দেয় এই নির্বাহী অফিসার। তিনি মুখে মুখে অনেকবার আমাকে এসব কথা বলে কণ্ঠাশা করতে থাকে। এরূপ অন্যায় কর্মকাণ্ড দেখে আমি ভয়ে নিরুপায় হয়ে দীর্ঘদিন চুপচাপ করে থাকি। নির্বাহী অফিসার বুলডোজার এনে আমার দখলীয় জমির উপরে যে কয়টি দোকানঘর ছিল তা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে । এবং তার কাটার বেড়া দিয়ে ওই ১৫ শতক জমি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করে। এমন তো অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কড় জোরে অনুরোধ জানাচ্ছি কেন আমার উপর এ ধরনের অন্যায় অবিচার করেছে তা খটিয়ে দেখার জন্য এবং পুনরায় আমার জমি আমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি ভূমি কর্তৃপক্ষের কাছে। এ বিষয়ে পঞ্চগড় আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুশফিকুল আলম হালিম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন পরেশ চন্দ্র বর্মন, তৌশিলদার কে হাত করে এজমি দখল করেছে তাই তাকে উচ্ছেদ করা হয়।