Subscribe our Channel

পীরগঞ্জে হাফেজিয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে অমানবিক প্রহার হাসপাতালে ভর্তি

পীরগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেস ডেক্স :  পড়া দিতে না পারায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সতুল কোরআন নুরে জান্নাত হাফেজিয়া মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক এক শিশু শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে অমানবিক ভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার ওস্তাদদের বিরুদ্ধে । বিষয়টি জানার পর শুক্রবার সকালে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেছেন তার পরিবারের লোকজন। অভিযোগ বিষয়ে মাদ্রাসা    প্রধান আল মামুন বলছেন “ পড়ার জন্য দু’ এক বেত    মারা হয়, এটি ভুল হয়ে গেছে আর এ রকম হবে না”। পীরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের   মহিলা  বিভাগের  ৩০ নম্বর  বিছানায়     চিকিৎসাধীন  মুমতারি জাহান তিথি (৯) নামে এক শিক্ষার্থীর  পিতা  উপজেলার   একান্নপুর / খটশিংগা   গ্রামের   মুসাদ্দেক  জানালেন, তার মেয়ে একই এলাকার সতুল কোরআন  নুরে  জান্নাত  হাফেজিয়া  মহিলা মাদ্রাসার  আবাসিকে থেকে নাজরা বিভাগে  অধ্যায়ন করছে । শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার থেকে তার মেয়েকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আনা হয়। পরে গোসল করানোর সময় তিথির শরীরের মারপিটের চিহৃ দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিথির মা আকতারি বেগম। এ নিয়ে এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে শিক্ষার্থী তিথি তার পিতা-মাতা সহ বাড়ির লোকজনকে জানায়, শুদ্ধ ভাবে পড়া দিতে না পারায় তাকে সহ অন্যান্য শিক্ষার্থদের লাঠি দিয়ে প্রতিদিনই পেটানো হয় এবং এ কথা বাড়ির কাউকে জানালে আরো পেটানো হবে বলে ভয় দেখান মাদ্রাসার প্রধান মামুন হুজুর।

এতে ভয়ে সে কাউকে বিষয়টি জানায়নি। ঘটনা শুনার পর ঐ শিশু শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে হাসপাতালের মহিলা বিভাগের ৩০ নম্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন রয়েছে তিথি। এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রহমান সোয়ান জানান, শিশুটির হাতে -পায়ে লাঠি দিয়ে পিটানোর কিছু চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঐ মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী পেটানোর ঘটনা এটা নতুন নয়। এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটেছে। মাদ্রাসার মামুন হুজুর জরিমানাও দিয়েছেন। তিথির পিতা জানান, তিনি থানায় গিয়েছিলেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন, শিক্ষার্থী পেটানোর ঘটনা ওই শিশুর পিতা তাকে জানিয়েছেন। তিনি থানায় মামলা করার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে ঐ মাদ্রাসার প্রধান আল মামুন বলেন, পড়ার জন্য দু’এক বেত দেয়া হয়, আসলে এটা ভুল হয়ে গেছে আর এমটা হবে না। পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *