Subscribe our Channel

জুলাইয়ে ফজর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল

ফাইল ছবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার উড়াল মেট্রোরেল সাধারণ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় চলাচল শুরু হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, দিনে ৪ ঘণ্টা চলাচল করছে। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি চালু হয় মেট্রোরেলের পল্লবী স্টেশন।এরই মধ্যে দেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের সময় পরিবর্তন করে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে মেট্রোরেল চলাচলের সময় ও অফিসের সময়ের মধ্যে পার্থক্য থাকায় এখনো কাঙ্ক্ষিত যাত্রী মিলছে না।ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাস থেকে প্রতিদিন ফজরের সময় থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।এমন এন সিদ্দিক বলেন, একই সঙ্গে জুলাই মাসে থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রোরেলের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু করা হবে। তখন অফিসগামী মানুষও বেশি চলাচল করতে পারবে। এখন মেট্রোরেলের চলার সময় ও অফিস টাইমের সঙ্গে মিস ম্যাস রয়েছে। আমরা আগেও বলেছিলাম পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমে যাবো। পৃথিবীর সব মেট্রোরেল কিন্তু এভাবেই শুরু হয়। এটা ওয়াল্ড ওয়াইড প্র্যাক্টিস। আমরাও এটা অনুসরণ করে মেট্রোরেল পরিচালনা করছি।তিনি বলেন, মেট্রোরেল পুরোদমে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত চালু হলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার ও দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। মূলত মেট্রোরেল নির্মাণ হবে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। এজন্য ২০১২ সালের জুলাই মাসে মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এটি বাস্তবায়নের প্রাথমিক মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। যদিও পরে মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু তার আগেই গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের একাংশ উদ্বোধন হয়েছে।২০১৭ সালের ৩ আগস্ট মেট্রোরেল প্রকল্পের পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের সামনের সড়কে এর উদ্বোধন করা হয়। শুরুতে ওবায়দুল কাদের মেট্রোরেলের মূল কাজের ফলক উন্মোচন করেন। এরপর নিজেই চেপে বসেন পাইলিং মেশিনে।এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার (২১,২৬ কিলোমিটার)। এর মোট ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ঋণ থেকে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *