নিজস্ব প্রতিবেদক(চট্টগ্রাম): ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত নিকটবর্তী প্রতিবেশী এবং দায়িত্বশীল প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর এই অবস্থান কেউ সরাতে পারবে না। দুই দেশ ভাইয়ের মতো সম্পর্ক রক্ষা করে। যেমন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সবার আগে হাত বাড়িয়েছিল ভারত। এই কারণে আমি ভারতের জনগণ, ভারত সরকার এবং ভারতীয় যেসব সৈন্য নিহত হয়েছেন তাদেরকে স্মরণ করছি এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি হোটেলে ৭৪তম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন।মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ এর পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ধাপে ধাপে এগিয়ে গেছে। শুধু ব্যবসা, সংস্কৃতি, শিক্ষা বা চিকিৎসাখাতে নয়, দুই দেশের সম্পর্ক মানুষে মানুষে, আত্মায় আত্মায়। করোনাকালে ভ্যাকসিন দিয়ে ভারত প্রথম আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এই জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক দুই দেশের মানুষও উপভোগ করে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক মজবুত, যা ভাঙার নয়। এই সম্পর্ক ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সংস্কৃতি, খাদ্য, পোশাক সবকিছুতে মিল রয়েছে। কোনো পার্থক্য খুঁজে পাবে না দুই দেশের মাঝে। আমাদের সম্পর্ক উইন-উইন। ভারতের অর্থনীতি পৃথিবীতে অনেক শক্তিশালী। তারা পৃথিবীর পঞ্চম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশও এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অর্থনীতি ও উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে।ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, আজকে ভারত-বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথমে। প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে।তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং ভারতের সেনাবাহিনী একসঙ্গে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধন তৈরি করে গেছেন। আজকে আমাদের বন্ধন শুধুমাত্র ট্রেড, কর্মাস, সিকিউরিটি এবং বর্ডার ম্যানেজমেন্টের মতো ট্রেডিশনাল ক্ষেত্রসমূহে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের বন্ধন এখন কৌশলগত সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। ভারত বাংলাদেশের কমিটেড ডেভেলপমেন্ট পার্টনার।