
মারুফ সরকার, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন মুকুল হোসেন। আর তা বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন। ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার এভাবেই চলছে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এরান্দহ গ্রামের বাসিন্দা মুকুল হোসেন। স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সংসার তার। বুঝ হওয়ার পর থেকেি বিভিন্ন গাছ বা বাসা-বাড়িতে মৌমাছির চাক কেটে মধু সংগ্রহ করেন। সেই মধু বিক্রি করে যে অর্থ আয় করেন তাই দিয়েই চলে তার সংসার। মুকুল হোসেন বলেন, ‘আমি প্রায় ২০-২৫ বছর যাবৎ মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করি। মৌচাক কেটে মালিকদের অর্ধেক আর আমি অর্ধেক নিয়ে থাকি। প্রতি কেজি মধু ৭০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করি। এতে করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আয় করি। এর থেকে প্রতিদিনের খরচ বাদে যা থাকে তা সঞ্চয় করে রাখি ভবিষ্যতের জন্য। তিনি আরো জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামে গ্রামে ঘুরে মধু সংগ্রহ করে ভালোভাবে সংসার চালাতে পারলেও বর্তমানে পর্যাপ্ত মৌচাক না পাওয়ার কারনে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মধু ক্রেতা নুরুল হক নয়ন বলেন, ‘মৌমাছির চাকের মধু সব সময় পাওয়া যায় না। এখন সবকিছুতে ভেজাল থাকে।
তাই বাড়ি থেকে চাক কাটার মূহুর্তে ভেজালমুক্ত মধু পাওয়া যায়। রায়গঞ্জের বাসিন্দা আবির হাসান জানান, বাজারের ব্যবসায়ী দোকানগুলোতে যে মধু পাওয়া যায় তাতে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য দেয়া থাকে। যা ক্ষতিকারক। আর চাকের খাঁটি মধু শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলছেন,খাঁটি মধু মানুষের সর্দি-কাশি দূর করে। এছাড়া শক্তিবৃদ্ধিসহ শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে। আর ভেজাল মধু মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন মুকুল হোসেন। আর তা বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন তিনি।