
প্রতীকী ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক (বরিশাল) : বরিশালের হিজলা উপজেলায় হরিনাথপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আহ্বান করায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলো প্রশাসন। শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হরিনাথপুর ইউনিয়নের গরুর হাট ময়দান এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বকুল চন্দ্র কবিরাজ।শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন ইউএনও।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হরিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত। সেখানকার আওয়ামী লীগের একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ খান। বর্তমানে তার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন খান হরিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।অন্যদিকে অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তৌফিকুর ররহমান সিকদার। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই মধ্যে শনিবার সকালে মো. আব্দুল লতিফ খানের বড় ভাই হরিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান গরুর হাট ময়দানে ৬, ৭, ৮ ও ৯ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন।একই স্থানে একই সময়ে হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তৌফিকুর ররহমান সিকদার কর্মীসভার আয়োজন করেছেন।
বিবাদমান দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা এলাকায় পৃথকভাবে শোডাউন করছেন। তারা মুখোমুখি অস্থানে রয়েছেন। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গরুর হাট ময়দান এলাকার ৫০০ গজের মধ্যে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সব ধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হরিনাথপুর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গরুর হাট ময়দানসহ আশপাশের এলাকার ৫০০ গজের মধ্যে তিনজনের অধিক লোক জড়ো হলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। কোনো পক্ষ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে চাইলে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।