Subscribe our Channel

দুস্থদের চাল বিতরণে অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার একটি পৌরসভা এবং ছয়টি ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপকারভোগীরা নির্ধারিত ১০ কেজির পরিবর্তে কোথাও পাঁচ আবার কোথাও পেয়েছেন সাত কেজি করে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

 

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আদমদিঘির ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৪ হাজার ২৮১ জনের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। সোমবার থেকে গতকাল পর্যন্ত চলে চাল বিতরণ কার্যক্রম। মঙ্গলবার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৬৩ জনের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

 

 

ওই ইউপির আসলাম, রাজু, রাশেদা ও ইমরোজ নামের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ১০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা থাকলেও মাপজোখ না করেই বালতি দিয়ে তুলে তাদের চাল দেওয়া হয়েছে। পরে মেপে দেখি প্রতিজনে চাল পেয়েছেন ৫-৭ কেজি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুুল হক আবু জানান, অভিযোগ সত্য নয়।

 

 

সবাইকে ১০ কেজি করেই চাল দেওয়া হয়েছে। এদিকে উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার সুবিধাভোগী বুচিয়া রানী ও সাবিত্রি নামে দুজনকে স্লিপ দেওয়া হলেও তারা চাল পেয়েছেন ছয় কেজি করে। চাল বিতরণে একই অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে নশরতপুর, সান্তাহারসহ আরও পাঁচ ইউনিয়নে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষে মানবিক সহায়তার চাল বিতরণ কর্মসূচির প্রত্যেক সুবিধাভোগী মাথাপিছু ১০ কেজি করে চাল পান।

 

 

চাল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এদিকে  ঠাকুরগাঁওয়ে ভিজিএফের চাল বিতরণের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে।

 

অস্বচ্ছলদের চাল না দিয়ে স্বচ্ছল ও দলীয় ব্যক্তিদের চাল দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

 

বুধবার সদরের কয়েকটি ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিরতণ করা হয়। আকচা ইউনিয়নের বৃদ্ধা মহেসিনা, ফাতেমা সারা দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চাল পাননি।

 

 

পরে মেঝেতে পরে থাকা চাল কুড়িয়ে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তারা। অভিযোগ অস্বীকার করে আকচা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন, স্বচ্ছল নয় অস্বচ্ছলদেরই চাল দেওয়া হয়েছে।

 

 

চাল বিতরণে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে সুখানপুখুরি, বেগুনবাড়ি ঢোলারহাট ইউনিয়ন থেকে। সদরের ইউএনও আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানান, চাল বিতরণে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সেই সাথে  ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৮ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়াডের বাঁশগাড়া গ্রামে বসবাসরত অতি দরিদ্র  মমতাজ উদ্দিন (৫৯) পিতা-মৃত আদিম উদ্দিন উক্ত ৩ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য শ্রী নির্মল চন্দ্র রায়ের গত ১৫/০৪/২০২২ ইং ঈদ উপলক্ষে ভি,জি, এফ এর চাউলের জন্য শ্লিপ চাইতে গেলে একবাক্যে বলে দিলেন টাকা ছাড়া কোন শ্লিপ দেয়া যাবে না ।এই কষ্টে হত দরিদ্র মমতাজ  পীরগঞ্জ  উপজেলা নির্বাহী অভিসারের বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন ।

 

এ বিষয়ে ৩ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য শ্রী নির্মল চন্দ্র রায়ের সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি একবাক্যেই বলে দিলেন তার এই কথার কোন প্রমান আছে কি ? থাকলে আমি সময় মতো জবাব দিবো ।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *