
মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের রাজিয়া আক্তার পান্না মাটিয়াকুড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির একজন সাধারণ সদস্য। তার দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাল্যবিবাহ হয়ে অল্প বয়সে মা হন। এরপর অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। মোকাবিলার চেষ্টাকালে ওয়ার্ল্ড ভিশনের বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে শিশু সুরক্ষা, মায়েদের গর্ভকালীন প্রসব চেকআপ, শিক্ষার গুরুত্ব, সেবাসমূহ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক জানতে পেয়ে বর্তমানে সেগুলো অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তভুক্ত হওয়ার পর থেকে এডভোকেসি, মনিটরিং নেতৃত্ব ও দক্ষতা উন্নয়ন সহ আরো অনেক বিষয় জানতে পারেন।
সে নিজেই এখন বাল্য বিবাহ সহ শিশু সুরক্ষা বিষয়ে কিশোরী ও তাদের অভিভাবক সহ সবাইকে সচেতন করেন। স্থানীয় সরকারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ২৭ জন শিশুর টিকা কার্ড, ২৯ জন শিশুর জন্মনিবন্ধন, ৩০৪ জনের কোভিড ভ্যাকসিন টিকা কার্ড, ৫২ টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্ড, ৭টি রেশন কার্ড ও মাতৃত্ব কালীন কার্ড ২টি নিয়ে দিতে সহায়তা করেছেন।
রাজিয়ার নিজস্ব উদ্যোগে এবছর ২ জন শিশুর বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে সহায়তা করেন। সমাজ উন্নয়ন অসামান্য অবদান রাখায় এবছর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা ২০২১ অর্জন করেছেন।
রাজিয়া পান্না এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি আমার সমাজের উন্নয়ন লক্ষ্যে যে কাজ থাকি তা বীরগঞ্জ এপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব ছিল না। তাই আমি ওয়ার্ল্ড ভিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমার মত এই রকম অনেক জয়িতা ওয়ার্ল্ড ভিশনের মাধ্যমে সমাজের জনগন ও শিশুর উন্নয়নে সর্বদাই কাজ করে চলছি।