
নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলে বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজাকার পুত্র এস এম আনিসুলের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক প্রান নাশের হুমকির শিকার ইউনিয়নের সামাজিক ব্যক্তিত্ব। আনিসুলের প্রত্যক্ষ মদতে তার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী প্রান নাশের উদেশ্যে সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায় সহ সমাজের সামাজিক ব্যক্তিত্বদের প্রান নাশের অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
গত ( ৯ জুলাই) দুপুর ১২ টায় আনিসুল ইসলামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী মাদক ব্যবসায়ী একাধিক হত্যা মামলা সহ- চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই মামলার আসামি, মির্জাপুর গ্রামের ইউনুস শেখের ছেলে আজিম শেখ সহ তার সহযোগী অন্যান্য সন্ত্রাসীরা মির্জাপুর পূর্ব পাড়া শ্রী ইন্দ্র জিৎ বিশ্বাস ও তার বৃদ্ধ মাতা, স্ত্রী, নাবালক সন্তানকে মির্জাপুর বাজারে মারাত্মক ভাবে জখম করে। একই তারিখে রাতে মির্জাপুর বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মইন খন্দকারকে রাজাকার পুত্র আনিসুলের উপস্থিতিতে এবং প্রত্যক্ষ নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক তাদের মারাত্মক জখম করে।
বিছালী ইউপির চাকই গ্রামের আনজু বেগম ও তার ছেলে, মেয়ে কে হত্যার উদেশ্য রক্তাক্ত জখম করে। (১২ জুলাই) সোমবার বিকালে ৬ টায় এস এম আনিসুলের মদদে তার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য আরশিদ শেখ সহ অন্যান্য সদস্যরা বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সরকারের আয় কর দাতা সমাজ সেবক জনাব বেনজির হোসেনকে হত্যা করার উদেশ্য আক্রমণ চালায়। জনাব বেনজির হোসেন ঐই দিন পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রাণে বেচে যায় এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী আরশিদ কে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেন৷ মজার বিষয়, ওই দিন হত্যা মামলার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে নাটের গুরু রাজাকার পুত্র আনিসুল ইসলাম মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পে সুপরিকাল্পত ভাবে বসে ছিলেন।
এলাকারাসী জানায়, সমাজ সেবক বেনজির হোসেন রাজাকার পুত্র আনিসুল ইসলামের সন্ত্রাসী কার্য কলাপ, চাঁদাবাজিসহ সংখ্যালঘু হিন্দু সমপ্রদায়ের প্রতি অত্যাচারের প্রতিবাদ করার কারনে তাকে নিয়ে এই ঘৃন্য ষড়যন্ত্র করেছে চেয়ারম্যান আনিস। নিজেকে মাডার মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ ক্যাম্পে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় সুচতুর চেয়ারম্যান। স্থানীয়রা না থাকলে তাদের এই সন্ত্রাসী বাহিনী জীবন নিয়ে নিতেন বলে জানান তারা।
ইউনিয়নে গুঞ্জন উঠেছে, এই সকল কর্মকাণ্ডের নাটের গুরু শীর্ষ সন্ত্রাসী আনিস, মাদক ব্যবসায়ী আজিম শেখ, সমাজ সেবক বেনজির হোসেনের বাড়িতে মাদক অথবা অবৈধ অস্ত্র রেখে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে । এ বিষয়ে বেনজির হোসেন জানান, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা শীল । আমি ও এ ধরনের কথা শুনেছি। আনিস ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অপকর্ম কুকর্মের প্রতিবাদ করার কারনে বিগত সময়ে চাকই গ্রামের আতিয়ার শেখ ও রুখালী গ্রামের হাচরাত কাজীর বাড়িতে ফেনসিডিল রাখিয়া প্রশাসন দ্বারা হয়রানি করেন।
চেয়ারম্যান আনিসের পর্দার আড়ালে মানুষকে ফাসিয়ে দেওয়ার অভ্যস অনেক আগে থেকে। অভিযোগ উঠেছে আনিসুল ইসলাম সাররাত বাংলা মদ পান করেন এবং তার পোষা বাহিনী দিয়ে কিভাবে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করা যায় তার নীল নকশা তৈরী করেন। তিনি ইউপি পরিষদে না বসে মির্জাপুর বাজারে একটি ঘর নিয়ে সেই-খানে বসে সকল অপকর্ম কুকর্মের নীল নকশা তৈরি করেন। কোন দিন কাকে হয়রানি, মারধর, ভয়ভীতি দেখানো সহ নানা রকম অপরাধ সংক্রান্ত কাজের নকশা করা হয়। আর এই নীল নকশা আঁকার পিছনে রয়েছে সাইদুর মীরের ছেলে নুর ইসলাম ডাক্তার, স্যাকলাইন মুন্সির ছেলে ইমরান মুন্সি।
ইউনুস শেখের ছেলে আজিম শেখ , বদর শেখের ছেলে বেলাল শেখ,মুজিবরের ছেলে হাসানুর শেখ, পান্না মুন্সির ছেলে জাহেদ মুন্সি তবিবরের ছেলে মহিউদ্দিন পারভেজ ফটিক, খিলাই খন্দকারের ছেলে সোহান শেখ, ইবাদ শেখের ছেলে আরশিদ শেখ, যানা গেছে, নুর ইসলাম ডাক্তার ও আজিমের নামে প্রত্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, আজিম বাহিনীর অপকর্মের প্রতিবাদ করলে কোমর চুলকানোর ভান করে মাঝায় থাকা পিস্তল দেখিয়ে দেয়।
এলাকার তাদের এই সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে মারপিট ও জখম হয়েছে মির্জাপুর গ্রামের কালাম মুন্সী, টিয়া কাজী, হিলোন খাঁ রিয়াজ মীর,ববী মুন্সি সহ অনেকে। রাজাকার পুত্র আনিসুল ইসলাম নিজেকে ডিআইজ, সেনাপ্রধানের ভাই, কখন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চাকুরিরত সচিবের আত্মীয় পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । আর এই সম্পদ নিজের নামে না রেখে স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ফিকস ডিপোজিট করে রেখেছেন এবং খুলনা শিরোমনিতে কোটি কোটি টাকার সম্পদ কিনে রেখেছেন । ময়মনসিংহ সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সাধারণ মানুষকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে কোটি কোটি টাকা নিয়ে বিপাকে রয়েছে চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম ।
তিনি এখন অনেক জেলায় ভয়ে যেতে পারেন না। জানা গেছে , মির্জাপুর গ্রামের সুমন শেখ রুখালী গ্রামের মিলন, যশোর নোয়াপাড়া সুমন ট্রের্টাসের নিকট হতে নিজেকে গ্রুপ – অপ কম্পানির চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে প্রায় ২ কোটি টাক হাতিয়ে নিয়েছেন। করোনা কালীন সময়ে সরকারি কোন বরাদ্দ সঠিক ভাবে বন্ঠন না করার অভিযোগ রয়েছে । তার চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নে বেপরোয়া কর্মকান্ড শুরু হয়েছে।
তার সীমাহীন দূর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদে ১২ জন মেম্বর জেলা প্রশাসকের নিকট অনাস্থা দেন। ইউনিয়নে ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা সহ সরকারি কাজে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এলাকারাসী এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে প্রসাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ আশা করছেন।