
মোঃ তোতা মিয়া ব্যুরো প্রধান :
পঞ্চগড়ে সড়ক মহাসড়কে ফসল মাড়াই এবং খড় শুকানোর হিড়িক পড়েছে। কোন কোন সড়কে এখন অনেকটা চাতালে পরিণত হয়েছে।ফলে সড়ক সংকুচিত হয়ে চলাচল হয়েছে ঝুঁকিপুর্ণ।
প্রতিনিয়তই বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতি বছর ধানের এই মৌসুমে সড়ক মহাসড়কের পাশের বসতবাড়ির লোকজন যে যার মতো সড়ক ব্যবহার করছে।ক্ষেত থেকে ধান কেটে এনে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে সড়কের উপর। পরে সড়কের একটা জায়গা দখলে নিয়ে কল বসিয়ে দেদারছে চলছে মাড়াইয়ের কাজ।আর এ অবস্থায় সড়কের অর্ধেক অংশে ধান শুকানো ছাড়াও বিশাল খড় সড়কের ওপরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে রোদে শুকানো হয়।
পুরুষের পাশাপশি বাড়ির নারীরা বসতবাড়ির উঠান ছেড়ে সড়কে এসে এ কাজাটি করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এ কজটির পাশাপাশি তাঁরা রান্নার কাজে ব্যবহারের লাজড়ি, শুকানো মরিচ ও অন্য সকল কৃষি পন্য এনে ব্যবহার করছে সড়কে। এসব নারী-পুরুষ সড়কে গৃহস্থালীর কাজে ব্যস্ত থাকলেও দ্রুতগামী যানবাহনের দিকে লক্ষ থাকে কম। এতে যান বাহনের চালকেরা পড়েন বিপাকে।সংশ্লিষ্টরা জানান,সচেতনতার অভাবে এসব কাজে সড়ক ব্যবহার করছেন কৃষকরা।
গড়ি ড্রাইভারা জানান, নিদিষ্ট রুটিন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে বাস নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। কিন্তু সড়কে ফসল মাড়াই এবং শুকানোর জন্য রাস্তায় যান চলাচলে ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে গেছে। ফলে নির্দিষ্ট গতিতে বাস চালানো যায়না। সময়ের অপচয় হয়।
আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে না পারলে পরের দিনের ট্রিপ বাতিল হয়ে যায়।এতে হয়রানির শিকার হয় যএীরা। ফলে আমরা উভয় সংকটে পড়ছি এদিকে মহাসড়কে ফসল মাড়াই এবং শুকানোর কাজে নিয়োজিত কৃষকেরা বলছেন, বাড়িতে যায়গা নেই। উঠান নেই, আঙ্গিনা নেই। তাছাড়া খুব তাড়াতাড়ি মাড়াই এবং শুকানোর কাজ করা যায় বলেই তারা সড়কে-মহাসড়ক ব্যবহার করছেন।
জানা যায়, অনুমোদন ছাড়া মহাসড়কে বাজার,মার্কেট, অবৈধ দকলে বা যে কোন স্থায়ী বা অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ড বা ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দন্ড হতে পারে।
এমনটি অনুমোদিত মহাসড়ক আইনে – ২০২০’র খসড়ায় বলা আছে।