
কাজী সামছুজ্জোহা মিলন মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
২১ মে ২০২১ নওগাঁর মহাদেবপুরে মাদ্রাসা ছাত্র রাব্বি হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মহাদেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজম উদ্দিন মাহমুদ এর দূরদর্শিতার আবারো প্রশংসা করলেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারি সকালে মহাদেবপুর থানাধীন ৩ নং খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন দারুল উলুম কওমী নুরানী মাদ্রাসার ১৫০ গজ পূর্বে শমসের আলী মাস্টারের জমিতে মাদ্রাসার ছাত্র কুঞ্জবন মাস্টার পাড়া গ্রামের শমসের আলীর ছেলে রাব্বি (০৯) এর মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্হায় লাশ উদ্ধার করেছিল মহাদেবপুর থানা পুলিশ। উক্ত ঘটনায় মহাদেবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। যার নং – ০৮।
তারিখ- ৭ জানুয়ারি ২০২১। ধারা – ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। বৃহস্পতিবার ২০ মে অত্র মামলার তদন্তে প্রাপ্ত অভিযুক্ত একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র উপজেলার কুঞ্জবন নীচপাড়া গ্রামের মোতালেব হোসেনের পুত্র রনি (১৫) ভিকটিম রাব্বিকে মাথায় লাঠি দিয়া আঘাত করে হত্যার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, রাব্বি হত্যা মামলার তদন্তে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ রাত অনুমান ৮ টার সময় ভিকটিম ছোট রাব্বী (০৯), রনি(১৫) এবং বড় রাব্বি (১৩) রাতের খাওয়া শেষে মাদ্রাসার অদূরে একটি হাফ ওয়ালের উপর বসে রনির মোবাইলে নুড ভিডিও দেখে। এরপর রনি ভিকটিমকে খারাপ কাজ করার প্রস্তাব দেন। ভিকটিম অস্বীকৃতি জানান।
রনি ভিকটিমকে জোর করে ঘটনাস্থলে নিয়া যান। বড় রাব্বীও ভিকটিমের পিছুপিছু যায়। ভিকটিম বিষয়টি বড় হুজুরকে বলে দিবে বললে রনি তখন একটি লাঠি দ্বারা ভিকটিমের মাথায় আঘাত করে।
ভিকটিম ওহ্ মা বলে শব্দ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর বড় রাব্বি তার পরপর রনি দৌড় দিয়ে মাদ্রাসায় ঢুকে নিজ নিজ রুমে পড়তে বসে যায়।
পরদিন সকালে মহাদেবপুর থানা পুলিশ ভিকটিম ছোট রাব্বী (০৯) এর মৃতদেহ শমসের আলী মাস্টারের জমি থেকে উদ্ধার করে।