
প্রতিবেদক: তোতা মিয়া বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান,
পঞ্চগড়ে এবারের রমজানে ইফতারে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। গরমে তরমুজ খেলে শরীর ঠান্ডা হয় বলে রোজাদারদের পছন্দর খাবার হয়ে উঠেছে এই ফলটি।পঞ্চগড় এলাকার বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি পিস দেশি বড় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। মাঝারি সাইজের তরমুজর দাম ১৫০ থেকে ১০০ টাকা পিস।
আর পঞ্চগড়ের বিভিন্ন বাজারে বাংলালীং, তরমুজ মৌসুমি ফল। এবারের রমজানে প্রতিদিনেই এক থেকে দেড়শ তরমুজ বিক্রি করছেন পাইকাররা। তরমুজ আগে কখনও এত বিক্রি হতো না। ব্যবসায়ীরা বলেন, আমদের দোকানের তরমুজ যে একবার খায়, পরের দিন আরেকবার নিনে যায়। কোনো কথা বলার দরকার হয় না।
পঞ্চগড় কদম তোলা ফল বাজারে তরমুজ, বিক্রি করেন মোঃ খোকা মিয়া তিনি বলেন, আমি রোজার আগে থেকেই তরমুজ সহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করি। কিন্তু রোজার শুরু’র দিন থেকে আমার দোকানে তরমুজ ও বেল, আনারস,বাঙ্গি, কলা,খেজুর,বেশি বিক্রি হচ্ছে।
একজন পরিবহন নেতা নুরুজ্জামান মিয়া বলেন, করোনার কারনে এবার ইফতার বাইরের ভাজাপোড়া খাচ্ছি না, ঘরেই করছি।আলুর চপ, চিকেন ফ্লাই, গ্রিল চিকেন ও হালিম ঘরে বানাচ্ছে।এছারও এবার শসা, তরমুজ ও কলার পাশাপাশি বাঙ্গি কিনছি ইফতারের জন্য।
পাশেই ক্রেতার অপক্ষায় থাকা ভাজাপোড়ার দোকানদার বলেন, লকডাউনের কারণে পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনিসহ ভাজাপোড়ার কদর নেই। গত বছর প্রতিদিন ২-৩ হাজার টাকা বিক্রি হতো। এখন ১ হাজার টাকাও বিক্রি হয় না। এবার আমাদের ব্যবসা মন্দা।
ফারুক হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, তরমুজ খুবই স্বাস্থ্যকর ফল।এটা খেলে শরীর-স্বাস্থ্যোর উপকার হয়। আর ভাজাপোড়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই সারাদিন রোজা রাখার পর এসন খাবার খাই না।