Subscribe our Channel

বেনাপোল ধান্যখোলার ভূমিদস্যু আশা বাহিণী কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

বেনাপোল ধান্যখোলার ভূমিদস্যু আশা বাহিণী কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্চিত শার্শা উপজেলার ৩নং বাহাদুরপুর ধান্যখোলা গ্রামের মেন্দের টেক বাওর সংলগ্ন  কৃষি  জমি  থেকে  মাটি  উত্তোলন  করে বোয়ালিয়া বাজারে অবস্থিত অর্নব ব্রিক্সে বিক্রি করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে  ঘটনা স্থানে সাংবাদিকরা মাটি উত্তোলনের ছবি ও  ভিডিও  করলে  তাদের  নিকট  থেকে  মোবাইল ও ক্যামেরা কেড়ে নেন ভূমি দস্যু ও ধান্যখোলা এলাকার ত্রাস আশা ও তার বাহিনী।

 

বৃহস্পতিবার   ০৮ই এপ্রিল দুপর  সাড়ে  বারোটায় শার্শা উপজেলার ৩ নং বাহাদুরপুর বাওর সংলগ্ন মেন্দের টেকের পাশে এ ঘটনা ঘটে।  দৈনিক  সকালের  সময় শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি সুমন হোসেইন জানান,  দুপর  তোদের  মত  সাংবাদিকদের মাটিতে পুতে রাখবো এসব বলে আমাদের সাথে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে  নেন  আশা  ও তার সন্ত্রাশী বাহিনীর বাবলু, সুমন  সহ আরোও/ ৬/৭  জন।

 

তারপর তারা আমাদেরকে  শারিরিক ভাবে নির্যাতনও করে এবং ধারণকৃত ভিডিও  মুছে ফেলার  জন্য  সাথে  থাকা  ক্যামেরা  ও  স্টান্ড  অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করে নেয়। এদিকে একই  নিউজের  সংবাদ  সংগ্রহে  বাহাদুরপুর বাওর সংলগ্ন মেন্দের টেকের পাশ কৃষি  জমি থেকে মাটি বিক্রির অভিযোগ পেয়ে সাংবাদিক সাহিদুল ইসলাম শাহিন সহ তার সহযোদ্ধা ৬  জন  ঘটনাস্থলে  উপস্থিত হলে আশা বাহিনী তাদেরকেও মাছের ঘেরে  আটক করে নির্যাতন চালিয়ে তাদের  নিকট  থেকে  ক্যামেরা ছিনিয়ে রেখে ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে বলে আর কখনো এই এলাকায়  দেখলে গুলি করে মাথার খুলি উড়িয়ে দেব।

 

এ বিষয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, নিউজের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী  আশা গং কর্তৃক সাংবাদিক যে লাঞ্ছিদ হলো,  এই সন্ত্রাসীর খুটির জোর কোথায় সেটা বের করতে প্রশাসন ব্যর্থ হলেআমরা কঠোর  থেকে  কঠোরতর  পদক্ষেপ হাতে নেব। অবিলম্বে সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু আশা সহ তার সন্ত্রাসী বাহীনিকে আটক সহ  সাংবাদিকদের  ক্যামেরা উদ্ধার  করে  দিতে হবে, অন্যথায় সকল সাংবাদিক সংগঠনের সমন্বয়ে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

 

স্থানীয়তা  জানান  আশা  বাহিনীর  কবলে  কৃষি  জমির   বিলীন  হলেও নির্যাতন সহ গুম খুনের ভয়ে মুখ খোলে না কেউ।এ ঘটনা  উলেখ্য  করে  থানায়  লিখিত  অভিযোগ  করা  হয়েছে ।

 

বিষয়টি  যানাযানির  পর  শার্শা  উপজেলার  সংবাদ কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ  বিরাজ করছে। এ  ঘটনার  পর  উপজেলা  নির্বাহী  কর্মকর্তা  মীর  আলীফ  রেজাকে  অবহিত  করা হয়েছে। এ ব্যাপারে  বেনাপোল  পোর্ট  থানার  অফিসার  ইনচার্জ  (ওসি)  মামুন  খান  বলেন,  অভিযোগ  গ্রহন  করা  হয়েছে  তদন্ত  পূর্বক আইনানুগ  ব্যবস্থা  গ্রহণ  সহ  অতিদ্রুত  আসামীকে আটক  করা  হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *