
মোঃ তোতা মিয়া জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ে গরিনাবাড়ি ইউনিয়নের মাটিয়া পাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে,জানাযায় মিঠোফনে কথাবলার পর সিপাই পাড়া গ্রামের মোঃ আইবুল হোসেন এর পুত্র মোঃ রাকিব হোসেন (১৮) গত বুধবার বিকেলে রাকিব (১৮) একই ইউনিয়নের মাটিয়া পাড়া গ্রামের মোঃ বজলার রহমান এর স্কুলপড়ুয়া কন্যার সাথে দেখা করতে আসলে ওই কিশোরী পরিবারের লোকজন টের পেলে কৌশলের রাকিবকে কিশোরীর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে হাতের মধ্যে প্রাক মেরে মধ্যযুগীয় কায়দায় বাড়ির সকলে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। মারতে মারতে এক পর্যায় ওই যুবক জখন বেহুশ হয়ে যায় কখন কিশোরীর বাবা বজলার রহমান থানায় ফোন দেয় থানা থেকে পুলিশ এসে রাকিবকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
এমনতো অবস্থায় রাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাকিবকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক রাকিবের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।রাকিবের বাবা ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করার মত সমর্থ না থাকায় রাকিবকে পুনরায় আবার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বর্তমানে রাকিব পঞ্চগড় হাসপাতালর ২নং বেডে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন বলে জানার রাকিবের পরিবার। এবিসয়ে পঞ্চগর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা সুলতানা বলেন, ওই যুবকের শরীরে ভোতা কোনোকিছু দিয়ে আঘাতকরায় তার খুব যন্ত্রণা হচ্ছে, তবে টেস্ট না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। এবিসয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আককাস আহমদ বলেন, অভিযুক্ত যুবকে বাদির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরন মামলায় গ্রেফতার ওই যুবক পুলিশি পহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অপহরন মামলা হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিমি বলেন, মামলাটি বাদীর অভিযোগের পরিপেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে, তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে রাকিবের পরিবার ও তার বাবা বিসয়টি নিয়ে তারাও ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়েল করাছেন।মামলার আসামিরা হলেন, ১ মোঃ বজলার রহমান, পিতা মৃত জব্বার আলী গ্রাম মাটিয়া পাড়া,২ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পিতা মৃত জব্বার আলী, জাকির হোসোন, আব্দল বাতেন, মোছাঃ নাচিমা বেগম স্বামী জাকির হোসেন। এদের বিরুদ্ধে মামলাটি ডায়াল করেছেন রাকিবের পরিবার।
রাকিব এর পরিবার বলেন আমার ছেলের এত বড় ক্ষতি করেছে আমরা মামলা করলাম কিন্তু এ পর্যন্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশ তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার করছে না। এ বিষয়ে আমি প্রয়োজনে মানবাধিকার ও সংবাদ সম্মেলন করব কেন আমি ন্যায্য বিচার এখন পর্যন্ত পাচ্ছিনা আমরা গরিব বলে বড়লোকেরা যা খুশি তাই করবে আর আমরা সহ্য করে যাব এটা কেমন কথা, তারা আমার ছেলেকে বিনা দোষে নির্মমভাবে নির্যাতন করল এক বারো হাসপাতলে দেখতে পর্যন্ত আসলো না।