
মারুফ সরকার, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : মাগুরা থেকে ২০৬ কিমি সাইকেল চালিয়ে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অবস্থিত আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদে এসেছেন আবুল হোসেন (৭০) নামে এক বৃদ্ধ। গত ৪ জানুয়ারি আসরের নামাজের আগে তিনি বেলকুচি পৌর এলাকায় আল-আমান বাহেলা খাতুন মসজিদে আসেন। মসজিদের ইমাম,মুয়াজ্জিন ও স্থানীয় মুসুল্লি তাকে স্বাগত জানান। আজ শুক্রবার ৬ জানুয়ারি তিনি জুমার নামাজ আদায় করে মাগুরার উদ্দেশ্যে রওনা হন । জানা যায় আবুল হোসেন মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা ইউনিয়নের বাসিন্দা।তিনি পেশায় একজন কৃষক। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই সপ্তাহ আগে নান্দনিক কারুকার্য সম্পন্ন ও দৃষ্টিনন্দন আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদটি দেখতে পান। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করবেন এবং নিজ চোখে এক নজর দেখবেন। সেই সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে ২ জানুয়ারি সোমবার নিজ গ্রামের মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ আদায় করে মাগুরা থেকে সাইকেল চালিয়ে বেলকুচিতে আসেন। আবুল হোসেন বলেন, আমি ফেসবুকে এই মসজিদের ভিডিও দেখি। দেখার পর থেকে মসজিদে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা ও স্ব-চোখে দেখার ইচ্ছা জাগে।এই ইচ্ছা পূরণের জন্য গত সোমবার ফজরের নামাজ পড়ে সাইকেল নিয়ে বের হই এবং বুধবার বেলকুচিতে আসি। শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি এখন সুস্থ আছেন বলে জানান। আবুল হোসেন বলেন এখানে আসার পর সবাই আমাকে প্রচুর সমাদর করছে। এই মসজিদটি আড়াই বিঘা জমির ওপর নির্মিত হয়েছে।
আল-আমান ও মা বাহেলা খাতুনের নামে মসজিদটি নির্মাণ করেন তার ছেলে রহমত গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যায় করে নির্মাণ করা হয় মসজিদটি।এটি নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ বছর। আল আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা গোলাম কিবরিয়া বলেন, আবুল হোসেন এই কনকনে শীত উপেক্ষা করে যেভাবে সাইকেল চালিয়ে মাগুরা থেকে নামাজ পড়তে বেলকুচি এসেছেন আমি মনে করি এটা সম্ভব হয়েছে তার ঈমানি শক্তি থাকার কারণে। ঈমানি শক্তি না থাকলে এই বয়সে এতোপথ আসা সম্ভব হতো না।