
রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান -মো. সতোউর রহমান :
আধুনিক প্রযুক্তির ফলে মানুষ আজকাল শিল্প কলকারখানার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষ এগিয়ে চলায় অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে। সিংহভাগ মানুষ ভাবছেনা প্রাচীন ঐতিহ্যকে নিয়ে। যার ফলে এক সময়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে আসছিল যে ঘাইনেরসরিষার তেলে তা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে অনেকেই এখনও ঘাইনের তেলের প্রতি আসক্ত। কারন তারা মনে করেন ঘাইনের তৈরী সরিষার তেল অতি স্বাস্থ্য সম্মত। তাছাড়া ঘাইনের তৈরী খৈল গরু, মহিষ সহ যে কোন পশু প্রাণী সহজেই খায়। কিন্তু মিলের তৈরী খৈল গরু-মহিষ ঠিকমতো খাইনা বলে ঘাইনের খৈলের চেয়ে এর চাহিদা অনেকটায় কম।
আধুনিক প্রযুক্তির দিনেও বলদের ঘাইনের সরিষার তেলের চাহিদার কোন কমতি নাই গ্রাম্ এলাকার মানুষের কাছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামে দেখা মিলে সেই প্রাচীন শিল্প সরিষার তেল তৈরীর বলদের ঘাইন। তেল তৈরী করা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চোখ বাঁধা একটি বলদ পিঠে ভারী বোঝা নিয়ে ঘুরতে থাকে আপন গতিতে।
গঙ্গারামপুর গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে ঘাইন ওয়ালা মো. তোফিকুলে সাথে কথা হলে তিনি জানান, গ্রাম এলাকায় ঘাইনের তৈরী সরিষার তেলের প্রচুর চাহিদা । মিলের তৈরী তেলের থেকে ঘাইনের তেলের দাম অনেক বেশি তারপরও মানুষ চাহিদা করে নিয়ে যায়। বাপ-দাদার আমল থেকে আমাদের এই ব্যবসা। আমার তেল বিদেশ পর্যন্ত যায়। এতেই আমার সংসার চলে ঠিকমতো কোন অসুবিধা হয়না। তবে আমি যদি সহযোগিতা পেতাম তাহলে এই শিল্পটাকে বড় আকারে আনতে পারতাম। যাতে করে বেশি মানুষের চাহিদা মিটানো যেত।