
লাকসাম প্রতিনিধি: লাকসামে রেলওয়ের ৩য় শ্রেনীর এক কর্মচারীর দাপটে অতিষ্ঠ ও অসহায় হয়ে উঠেছে লাকসাম জংশনে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ দাপট দেখিয়ে চাকুরী না করেও টিএ এবং ওটিএ এর নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনা। ওই দাপুটে কর্মচারীর নাম হাছান আহমেদ পলাশ। সে লাকসাম গ্যারেজ বিভাগের স্টোর মুন্সী।
ভূক্তভোগীরা জানান, হাছান আহমেদ পলাশের অন্যায় অবৈধ কর্মকান্ডের কেউ প্রতিবাদ করলেই, হয় মারধর না হয় বদলী ও হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। প্রভাবশালী ওই দাপুটে স্টোর মুন্সী পলাশের পদবী অনুযায়ী কোন অফিস কিংবা পিয়ন থাকার কথা না, তবুও তিনি অফিস হাকিয়ে বসেন। শুধু তাই নয় তার অফিস কাম চেম্বারের পিয়ন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ওই বিভাগের খালাশী হুমায়ুন। খালাশী হুমায়ুন শুধু অফিস নয় পলাশের বাসার হাট বাজারসহ সকল কাজই তাকে করতে হয়। এদিকে পদ পদবী অনুযায়ী রেলের নিয়মে সে যদিও ভ্রাম্যমান ভাতা টিএ পাওয়ার কথা না, কিন্তু অবৈধ দাপুটে ও পেশী শক্তির বলে বলিয়ান হাছান আহমেদ পলাশ মাসের পর মাস অবৈধ ভাবে ভ্রাম্যমান ভাতা টিএ উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছেন। আর এ সমস্ত অবৈধ ভাতা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বদলীসহ নানাহ হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। প্রভাবশালী হাছান আহমেদ পলাশকে ভ্রাম্যমান ভাতা টিএ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সাবেক হেড টি এক্স আর ফজলুল হককে বিভিন্ন হুমকী ধমকি দিয়ে হয়রানী করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বদলী করিয়ে দেন।
এছাড়া ও হাছান আহমেদ পলাশ নিজ ইচ্ছেমতে কর্মস্থলে আসেন আবার চলে যান। এদিকে তার কথা না শুনায় সিগনাল কর্মকর্তা মহসিন মল্লিককে বদলী করিয়ে দেন। এছাড়াও তার অন্যায় অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করায় সিগনাল বিভাগের কর্মচারী আবুল কালামকে বেদম মারধর করে আহত করা হয়।