
মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভূল্লীরহাট এলাকার কয়েকশত গজ পশ্চিমে ব্রীজ ও পাঁকা রাস্তার পাশ থেকে সেলো চালিত ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন। যে কেনো মূহুর্তে প্রাণ নাশ সহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সংবাদ পেয়ে গত ১১ নভেম্বর ২০ইং বুধবার দুপুরে ভূল্লীরহাটে গিয়ে পাশ্ববর্তী ভূল্লী নালা হতে ডিজেল চালিত সেলোমেশিনের একটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের দৃশ্যটি চোখে পড়ে এবং ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এসময় ড্রেজার মেশিনটি পরিচালনায় থাকা একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের রাজ্জাক মামুন জানায়,স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনুমতি ক্রমে ও তারই তত্ত্বাবধানে সরকারী এই নালা হতে ভগিরপাড়া গোরস্থান সংলগ্ন একটি খাস জমিতে বালুর বিশাল এই স্তূপটি জমা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ড্রেজার মালিক তার মুঠোফোন দিয়ে দুপুর আনুমানিক ১২টা ২৫ মিনিটে ইউপি চেয়ারম্যান মজিদুলের সাথে কথা বলতে বলে, ফোনটি হাতে ধরিয়ে দিলে চেয়ারম্যান সাহেবের অনুমতিতে ভূল্লী নালা হতে বালু উত্তোলনের সত্যতার কথা স্বীকার করেন। এভাবে বালু উত্তোলনের কোন বৈধ অনুমতিপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সাংবাদিকতার বিষয়ে নানান মন্তব্য করেন ও অশালীন ভাবে কথা চালিয়ে উওরে বলেন, এ বিষয়ে কোথায় কোন অভিযোগ দিবার আছে দিন, আর পত্রিকায় কার কি লিখার আছে লিখুন, তবুও এই বালু উত্তোলন কাজ থামবেনা।
এসময় ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে নিজেকে অনলাইন ভিত্তিক বঙ্গ টিভির প্রতিনিধি দাবি করে জনৈক যুবক নাম ওয়াসিম আকরাম তথ্য সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের পরিচয় জানতে চান এবং এখানে আর মাত্র দুইদিন বাল উত্তোলিত হবে মর্মে জানান ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের পক্ষপাতিত্ব করেন। তবে নাম গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী জানায়, সম্প্রতি কয়েকদিন যাবত নালাটির বেশ কিছু পয়েন্ট হতে একই ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আশপাশের একাধিক স্থানে বালুর স্তূপ ও স্টোক করে রেখেছে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদকে মুঠোফোনে জানালে, তিনি বিষয়টি সম্বন্ধে উধ্বর্তন কতৃপক্ষকে জানানোর পরামর্শ দিলে তৎক্ষনাত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আব্দুল কাদের ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ডালিম সরকারকে অবগত করা হয়।