
মো.তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়ন পশ্চিম ভোগডোমা গ্রামের মৃত. বাদশা শেখের ছেলের মো. কেরামত আলী (৫০) অভিযোগে জানান, একই গ্রামের বসবাসকারী তার আপন বড় ভাই সোহরাব মুন্সি (৬০), ভাতিজা নুরনুবী (৩৫), মাছুদ (৪০), মাছুদের ছেলের সাজু (১৮) জোর পূর্বকভাবে তার সরকারি ভাবে পত্তনকৃত ভোগডোমা মৌজার খাস খতিয়ান-১, দাগ নং ৩ এর ২৩ শতক দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখলীয় জমিতে লাগানো ৬টি বড় আকৃতির কাঁঠাল, আম ও নিম গাছ কর্তন করে যার আনুমানিক মূল্য একত্রে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ১৫ই অক্টোবর ২০ইং তারিখ সকাল সাড়ে ৮ টায় উল্লেখিত ব্যক্তিরা বর্ণিত সম্পত্তি তাদের নিজেদের বলে মিথ্যা দাবি করে অবৈধভাবে জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে জোরপূর্বক গাছ কর্তন করে। গাছগুলি কর্তনে বাধা প্রদান করলে জমির প্রকৃত মালিক নূরনবীর স্ত্রী রহিমা (৪৫)কে তাদের হাতে থাকা শক্ত কাঠের ডাল দিয়ে পায়ে ডাং মার সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি দিয়ে ফুলা জখম করে। এসময় আহতর ডাক চিৎকারে নাজমা বেগম, সামিনা বেগম, নজরুল সহ অনেকেই এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার ও প্রানের রক্ষা করে স্থানীয় পল্লী ডাক্তারের চিকিৎসা করানো হয়। গাছ কর্তনে বাধা দেয়া কালীন বিবাদীরা জোরপূর্বকভাবে জমি দখলের চেষ্টা সহ কেরামতের পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে প্রাননাশ ও বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে সরেজমিনে ভোগডোমা গুচ্ছ গ্রাম এলাকায় গেলে গাছ কর্তনের ঘটনায় সত্যতা পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন, অসহায় দরিদ্র কেরামত আলী বহুকাল যাবত উক্ত জমি ভোগদখল ও উল্লেখিত কাঠাল, আম, নিম সহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করেছিল। কিন্তু সোহরাব মুন্সি গং অবৈধভাবে জোরপূর্বক জমি দখলের অসৎ উদ্দেশ্যে গাছগুলি কর্তন করেছে। কেরামত আলী জানান, উল্লেখিত ঘটনায় বীরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কর্তন কৃত গাছগুলি স্থানীয়দের জিম্মায় দেয়। কেরামতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, সোহরাব মুন্সি ও তার ছেলেরা সরকারের ১নং খাসখতিয়ান ভুক্ত প্রায় কয়েক একক জমির আংশিক কর্তন ছাড়া পুরাটাই অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছে। উক্ত জমির উপর ফলজ ও বনজ গাছ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্তন ও অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানান।