
মোঃ তোতা মিয়া বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান রংপুর :
পঞ্চগড় ১ নং অমরখানা ইউনিয়নে আবারো কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযোগ থেকে জানা যায় পঞ্চগড় ১ নং অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় গ্রামের, মোছাঃ লাকি আক্তার (৩৪) চা-বাগানের দিন মুজুর এর নাবালিকা কন্যা (১১) কে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে লাকি আক্তারের অজান্তে বাড়ির ঘরের খাটের নিচে ওত পেতে ছিল একই গ্রামের মৃত নজিম উদ্দিন এর লম্পট ছেলে মোঃ আফজাল হোসেন (৩৫) লাকি আক্তার প্রতিদিনের মত রাতের খাবার খেয়ে যখন ঘুমিয়ে পড়ে ঠিক তখনই লম্পট আফজাল হোসেন খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে লাকি আক্তার এর কন্যা (১১) কে পাশের কক্ষে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এমনতো অবস্থায় কিশোরী চিৎকার দিলে ধর্ষক আফজাল হোসেন পালিয়ে যায় কারণবশত আফজালের শীত নিবারনের মাফলাট পড়ে থাকে ঘটনাস্থলে।
এ বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কাছে দিন মুজর লাকি আক্তার বিচারের দাবি জানালে ধর্ষক পক্ষ গোপনে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা জানান। অবশেষে লাকি আক্তার গ্রামে বিচার না পেয়ে, কোটে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে ( সংশোধনী/০৩) এর ৯(৪)(খ) / ৩০ তৎসহ দঃ বিঃ ৩২৩/৫০৬(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় ওই এলাকায় অভিনব কায়দায় একটি চক্র অসহায় মানুষ কে সুযোগ বুঝে সর্বনাশ করার জন্য সব সময় তারা ওত পেতে থাকে, সুযোগ পেলেই হায়নার মত থাবা দিয়ে বসে।
মামলার বিভিন্ন নথিপত্র থেকে জানা যায় এর আগেও আফজাল হোসেন আরেকটি ধর্ষণ মামলার ৪ নম্বর আসামি ছিলেন। এতে করে বুঝতে আর বাকি থাকেনা যে এরা দলবদ্ধ হয়ে অসহায় মানুষের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।
এছাড়াও ১ নং অমরখানা ইউনিয়নে এসব ঘটনা নতুন বিষয় নয় দীর্ঘদিন থেকে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। তাই মাঝে মাঝে শোনা যায় পঞ্চগড় ১ নং অমরখানা ইউনিয়ন সবকিছুতেই এক নম্বরে আছে। এমন কোন অপকর্ম নেই যে অমরখানা ইউনিয়নে হয় না, এর জন্য কে দায়ী এটাই এখন ভাববার বিষয়।