
মোঃ তোতা মিয়া পঞ্চগড় :
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৬ নং সাতমেরা ইউনিয়নের কাক পাড়া গ্রামের সাহেদুল ইসলাম এক জন ডে লেভার এমনই প্রান্তিক শ্রেণির এক প্রতিনিধি, তিনি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কোনো রকমে এক জায়গায় মাথা গুঁজে রাত পার করে পরিবারের সদস্যদের অন্ন সংস্থানের জন্য উদয়াস্ত সংগ্রাম করেন৷ অতিব্যবহারে কিছু কথা আজকাল নাকি বড় ‘ক্লিশে’ হয়ে গেছে৷
‘দুঃখে যাঁদের জীবন গড়া তাঁদের আবার দুঃখ কিসের-‘ কথাটা আপনি নিশ্চয়ই বহুবার শুনেছেন, পড়েছেন, হয়তো বলেছেনও। এ কথাটাও কি ক্লিশে কথা শুনলে অনেকের তারপরও নির্ঘাত মনে পড়বে কথাটা এবং তাঁরা নিশ্চয়ই মানবেন,সাহেদুল ইসলাম দুঃখ-কষ্টকে জীবনে একবার নয়, প্রতিদিন জয় করেন, জয় করতে জানেন ৷
তাঁদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট বেঁচে থাকার মতোই বাস্তব৷ কেমন সেই বেঁচে থাকা? পঞ্চগড়ের সাহেদুল ইসলাম এক জন ডে লেভার তাঁর দিকে একটু তাকান, ঘামে ভিজে ওঠা মানুষটিকে দেখে তাঁর বেঁচে থাকার সংগ্রাম উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন? ৷

কে রাখে তাঁদের খবর স্ত্রী, সন্তানসহ বেশ বড় একটা পরিবারের জন্য গ্রামের নদী থেকে পাথর বালি তুলে কোনো রকম জীবন কাটান।সাহেদুল ইসলামের দুই ছেলে দুই মেয়ে ৷ বতর্মানে নিজের তিন শতক জমির উপরে বাঁশের পলেথিনের ঘর শিলা বৃষ্টিতে ভেঙ্গে জরাজীর্ণ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন অসহায় হতদরিদ্র সাহেদুল ইসলাম ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন শতক জায়গায় পলেথিন ও বাশেঁর চালা দিয়ে ঘর করে ঝর বৃষ্টির মধ্যে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তার। বাড়ির পাশের নদী থেকে পাথর বালি তুলে কোনো রকম জীবন যাপন করছেন।
এমন জীবন যাপনে দিন শেষে তিন শ থেকে চার শ টাকা আয় করার তৃপ্তি৷ রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে নদী থেকে পাথর বালি তুললে ধকল শরীর সারা সপ্তাহ সইতে পারেনা৷ তাই কোনো কোনো সপ্তাহে তিন দিনও বিশ্রাম না নিয়ে পারেন না ৷
তারপর কেটেকুটে যে কয়টা টাকা থাকে তা দিয়ে পরিবারের কোনো রকম সংসার চালাতে হয়। খুব অল্প সময়ে, নিজের সীমিত জ্ঞান নিয়ে সাহেদুল ইসলাম তাঁর জীবনের কথা শোনা বা শোনানোও হয়না৷ আপনাদের শোনানোর জন্য হৃদয় ভেঙ্গে শুনেছে, শুনবে৷