
পীরগঞ্জ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
সনদ পত্র ছাড়াই প্রাণির চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে গ্রামে গঞ্জে ভূল চিকিৎসা দিয়ে গরু মেরে ফেলা ও প্রতারণার অভিযোগে ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জের ৪০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।রবিবার ঠাকুরগাও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মোতালেব হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জনস্বার্থে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই ঠাকুরগাওকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদেও সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ ভেটেরিনারী কাউন্সিলের নির্দেশনা মতে ডাক্তারী সনদ ছাড়া কেউ চিকিৎসক পরিচয় দিতে বা প্রাণির চিকিৎসা সেবা প্রদন করতে পারবেন না।
সে নির্দেশনা উপেক্ষো করে ডাক্তারী সনদ ছাড়াই পীরগঞ্জ উপজেলার গ্রামে গঞ্জে প্রাণি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে গরু ছাগলের ভুল চিকিৎসা প্রদান করে আসছে কিছু মানুষ এছাড়াও রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া এন্টিবায়োটিক লিখতে বা ব্যবহার করতে পারবে না মর্মে হাই কোর্টের নির্দেশনা থাকলেও তারা গরু ছাগলের চিকিৎসা দিতে গিয়ে অন্যান্য ওষুধের সাথে উচ্চ মাত্রার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে থাকেন।
তাদের ভুল চিকিৎসায় অসংখ্য গরু ছাগল মারা যাচ্ছে। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সাগুনি গ্রামের হাবিবুর রহমান নামে এক হাতুড়ে চিকিৎসক ভুল চিকিৎসা দিয়ে মামলার বাদি মোতালেবের একটি বিদেশী গাভী এবং ৫ অক্টোবর রঘুনাথপুর ঈদগাহ মাঠ এলাকার মুকুল নামে আরেক হাতুড়ে চিকিৎসক তার আরো একটি বকনা বাছিগরু মেরে ফেলে।
এছাড়াও ৬ মাস আগে ঐ মুকুল রঘুনাথপুর গ্রামের লুঃফর রহমানের একটি বিদেশী দুধ দানকারী গাভী, এক মাস আগে আমতলী বাজারের সুজন নামে এক হাতুড়ে চিকিৎসক নোহালীর দেলোয়ার হোসেনের একটি বিদেশী গাভী, গত ২ ফেব্রয়ারী মিত্রবাটির পরশু নাথ নামে এক হাতুড়ে চিকিৎসক সাগুনীর রাধা চন্দ্রের একটি বিদেশী গাভী ভুল কিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলে। শুধু তারাই নয়। তাদের মত উপজেলায় ৪০ জন ব্যক্তি কোন প্রকার ডাক্তারী সনদ ছাড়াই নিজেদের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে আসছেন এবং গরু ছাগলের ভূল চিকিৎসা দিয়ে সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এতে গরু-ছাগলের মালিকরার লাখ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ বিষয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর হাতুড়ে চিকিৎসক হাবিবুরের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরে এবং গত ৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার দপ্তওে লিখিত অভিযোগ দেন মামলার বাদি।তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বাধ্য হয়েই জনস্বার্থে আদালতের সরনাপন্ন হন মোতালেব হোসেন।এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৪০ জন হাতুড়ে ডাক্তারকে আসামী করা হয়েছে।এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাতুড়ে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে তাদের করার তেমন কিছু নেই। আদালতে মামলা হয়েছে শুনেছি। দেখা যাক কি হয়।