
আব্দুল করিম,আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি:
সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে আমন ক্ষেতে ব্যাপক হারে কারেন্ট পোকা নামে পরিচিত বাদামি গাছ ফড়িং (বি পি এইচ) এর উপদ্রব দেখা দিয়েছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ উপজেলার কৃষকরা। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংকটকালীন সময়ে এ উপজেলার কৃষকরা বুকভরা আশা নিয়ে রোপা আমন ধান রোপন করেছিলেন। কিনÍু তাদের এ আশা যেন দুরআশায় ডুবে যেতে বসেছে।
এ দিকে কৃষকের এ আপদকালীন সময়ে কৃষি অফিসের কোনো কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে কৃষকের পাশে না দাড়ালেও বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃর্ষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে আটোয়ারী উপজেলায় রোপা আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১৬ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমি। এর বিপরীতে আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে। সঠিক সময়ে এ পোকার আক্রমন কমানো না গেলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনেকটাই ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নলপুখরী, মির্জাপুর,মলানী,বাকডোকরা, তোড়িয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সব ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। কৃষকের অভিযোগ আক্রমন ব্যাপক হলেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসের কোন মাঠ কর্মীর দেখা মিলছে না। ফলে তাদের কাছ থেকে কোনরুপ পরামর্শ ও সহযোগীতা তারা পাচ্ছেন না।
নলপুখরী গ্রামের চাষী জয়নাল, কশিবুল ,বজলার,মতিয়র রহমানের ক্ষেত কারেন্ট পোকায় আক্রানÍ হয়েছে। তারা জানান দুর থেকে দেখলে মনে হয় ধান ক্ষেত পেকে হলুদ হয়ে গেছে।
একই গ্রামের কৃষক আবুল কালাম বলেন, ১ বিঘা জমিতে পোকার আক্রমন হয়েছে। কৃষি অফিসের মাঠকর্মীর কোনরুপ সহযোগীতা ও পরামর্শ পায়নি। বাজার থেকে ঔষধ এনে দুইবার স্প্রে দিয়েছি কিনÍু কোনো ফল পায়নি।
উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বাকডোকরা গ্রামের কৃষক পজির উদ্দীন বলেন,দ্ইু একর জমিতে ধান লাগিয়েছি। কম বেশী সবগুলোতেই আক্রমন দেখা দিয়েছে। দু বার স্প্রেতে ৫ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। আশানুরুপ ফলন পাবো কিনা জানিনা। আমি গরীব মানুষ পারিবারিক অনটন তো আছেই, কি করব ভেবে পাচ্ছি না।
একই কথা বলেন খাজাব উদ্দীন, আনোয়ার সহ অন্য কৃষকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,আমাদের টিম মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছে,লিফলেট বিতরন,উঠান বৈঠক,ভিডিও প্রদর্শনী সহ কৃষকদের বিভিনø বালাই নাশক যেমন ইউনিটেন, প্লেনাম, পাইরাজিন,পেদাটিংটিং ইত্যাদি স্প্রে দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছি। এছাড়া ইউনিয়ন ও মাঠ পর্যায়ে রোগ বালাই প্রতিরোধ ও বালাই দমনে নানা কৌশল ঔষধের ব্যবহার নিয়ে কৃষকদের ধারনা দিয়ে যাচ্ছি।