পীরগঞ্জ প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ কর্মচারী নিয়োগে প্রধান শিক্ষকের ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রমিজ আলম কে এলাকার মিন্টু আলম সহ ৫ জন অভিযোগ করলেও ৬ মাসে কোন তদন্ত হয়নি। ফলে অভিযোগ কারীদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নাই। জানা গেছে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক অফিস সহায়ক ১ জন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ মোট দুজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। নিয়োগের নীতিমালায় জাতীয় বহুল প্রচারিত পত্রিকা ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নীতিমালা থাকলেও তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার স্থানীয় সরকারি ডিএফপি তালিকাভুক্ত পত্রিকা থাকলেও তিনি অন্য জেলার অপ্রচলিত সারকুলেশন বিহীন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উক্ত বিজ্ঞপ্তি গোপন রেখেছেন।তার পছন্দের প্রার্থীর কাছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়ম বহিভুক্তভাবে গত ২৫/১২/২০২৩ ইং তারিখে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের ছুটি থাকলেও ওই দিন গোপনে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আরিফুল্লাহ সরকারের প্রতিনিধি বণিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নওশের আলী (ডিজির প্রতিনিধি) ও প্রধান শিক্ষকের চাচাতো ভাই বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান সহ অন্যান্য সদস্যরা মিলে নিয়োগ পরীক্ষা সমাপ্ত করে নিয়োগ দিয়েছেন।প্রধান শিক্ষক এলাকার প্রচলিত পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কারণে এলাকার যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ সার্কুলার সম্পর্কে জানতে পারেনি । অনেক যোগ্য প্রার্থী আবেদন করতে পারেনি। দুইজন মূল দুইজন মূল প্রার্থী বাকিরা প্রক্সি প্রার্থী হিসেবে দায় সারা ভাবে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ বৈধ করেছেন প্রধান শিক্ষক।
এসব ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ বিভিন্ন দপ্তরে এলাকার খাইরুল ইসলাম, এফাজ উদ্দীন, হাসান আলী, তহিদুল ইসলাম মিন্টু আলম অভিযোগ করলেও ৬ মাস ধরে উক্ত অভিযোগ কোনো তদন্ত হয়নি বলে অভিযোগ কারীরা মঙ্গলবারে এ প্রতিনিধির কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান বিধি মোতাবেক নিয়োগ দিয়েছি। বিষয়টি অভিযোগ কারী সহ এলাকার সুশীল সমাজ উধ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি