মোশারফ হোসেন
বীরগঞ্জ প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পুনরায় যৌতুক না পেয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন সাথী আক্তার (৩৬) নামে এক গৃহবধূ। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) আদালতে গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ই নভেম্বরে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাহাতাবপুর গ্রামের নরুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসেনের (৩৯) সঙ্গে মৃত. মনছুর আলীর মেয়ে সাথী আক্তারের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক কাজী অফিসে বিবাহ হয়। বিবাহের পর স্বামী তার বাড়ীতে নিয়ে গিলে ১ম স্ত্রী আছে মর্মে জানতে পারেন। সংসার করার একপর্যায়ে ১ম স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হলে ২য় স্ত্রী সাথী আক্তারের গচ্ছিত টাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী ৩শতক জমি যৌথভাবে ক্রয় করেন। পরে বাড়ী-ঘর নির্মাণ করে স্বামীর সাথে সংসার করা কালীন যৌতুক বাবদ বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করে স্বামী মোশারফ হোসেন কৌশলে অনেক টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ আরও টাকার প্রয়োজন হলে ২০২৪ সালের ২৫শে মার্চে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রয় করে নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৪লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। গত ১ অক্টোবরে পুনরায় ৩লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করলে এত টাকা কিসের জন্য লাগতেছে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর উওর না দিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ লাঠি দিয়ে সাথী আক্তারকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলা কালশিরা জখম করে। সাথীর আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে গত ৭অক্টোবর বীরগঞ্জ থানায় গেলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। ভুক্তভোগী সাথী আক্তার বলেন, বিবাহের সময় ১ম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে প্রতারণা পূর্বক আমাকে বিয়ে করেন। যৌতুকের জন্য আমাকে প্রায়সময়ই নির্যাতন করতেন। কয়েক ধাপে টাকা দেওয়া পরও আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন।
প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোশারফ হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলে বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।