মোঃ হারুন-উর-রশীদ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গঠনের ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও শুধু ঘটনাস্থল পরিদর্শন ছাড়া তদন্তের কোন অগ্রগতি দেখতে পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। রোগীর স্বজন ও আন্দোলনকারীরা। নার্স ও ডাক্তারের কর্তব্য অবহেলায় মৃত্যুর ঘটনার ৮ দিন পর তদন্ত কমিটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বাড়ীতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন । সেই সময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তোপের মুখে পড়েন তদন্ত কমিটি। সেই সময় তদন্ত কমিটির কাছে চিকিৎসার অবহেলায় রোগী দুলালের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত দোষিদের বিচারের শাস্তির দাবী জানান বিক্ষুব্দ এলাকাবাসীরা।এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহবায়ক ডাক্তার আতিক উল্লাহ নিকট তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ।
তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করা হবে । এ বিষয়ে আন্দোলনকারী নেতা ফুলবাড়ী পৌর প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, ঘটনার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও অদ্যবদি অভিযুক্ত নার্স ও ডাক্তারগন বহাল তবিয়তে ফুলবাড়ীতে আছেন। তদন্ত কমিটি নিরপক্ষ ভাবে যদি তদন্ত করে তাহলে অবশ্যই অভিযুক্ত কেউ এখানে থাকতে পারবে না। আমরা চাই তদন্ত কমিটি দ্রæত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করবে এবং দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। উল্লেখ্য উপজেলার রাজারামপুর আদর্শ কলেজপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজের ছেলে দুলাল হোসেন (৪২) গত ১ ফেব্রæয়ারী সকাল ৭টায় বুকের ব্যাথা নিয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়, হাসপাতালে প্রায় দুই ঘন্টা সময় পেরিয়ে গেলেও কোন চিকিৎসক তার সাথে দেখা করেনি, সেখানে থাকা নার্স সাবিনাকে তার অনুরোধ করে দেখার জন্য বললে সে দুলালকে ধমক দিয়ে বলেন ডাক্তার খুজে নেন। তা না পারলে এখান থেকে চলে যান। এরই মধ্যে বুকের ব্যাথা কাতর হয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় দুলাল মৃত্যু বরণ করেন। এই ঘটনা এলাকাবাসীরা জানতে পেরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মশিউর রহমানসহ তার সহযোগীদের অপসরনের দাবীতে হাসপাতাল চত্ত¡রে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এর দুই ঘন্টাপর ওই দিন বেলা ১২টায় পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন ঘটনাস্থলে এসে দোষি ব্যাক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেয়ায়, রোগীর সজন ও এলাকাবাসীরা দুলালের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ী ফিরে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুর সিভিল সার্জনের কার্যলয় থেকে দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আতিক উল্লাহকে আহবায়ক করে তিন সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যলয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার কাওছার আহম্মেদ ও দিনাজপুর নাস পরিদর্শক বিপুল মার্ডি।