নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : শেখ হাসিনা দেশের সম্পদ লুটপাট করে স্বামীর বাড়ি চলে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভেকেট রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, হাসিনা ও তার দোসররা বিদ্যুতের সাড়ে চার কোটি প্রিপেইড মিটার দেওয়াসহ এ খাতে ভর্তুকির নামে হাজারও কোটি টাকা লুটপাট করেছে।মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলওয়ে ময়দানে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও চৌমুহনী পৌর বিএনপি আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের জনসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার মতো নির্মম নিষ্ঠুর পাশবিক স্বৈরশাসক এ দেশে আর ক্ষমতায় আসবে না। হাসিনা মনে করেছিল ক্ষমতা তার বাপের জমিদারি। তাই সে জনগণকে চাকর-বাকর মনে করতো। সমালোচনা করলেই অদৃশ্য করে ফেলতো। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ দানবকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে।তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের নামে হাজারও কোটি টাকা আত্মসাৎ, মেট্রোরেল, শেয়ার বাজারসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প থেকে বিপুল অংকের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। এখন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনারা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকারে গেছেন। আপনাদের বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সমর্থন দিয়েছে। আপনারা নির্বাচনের কথা বলেন কিন্তু কোনো ডেডলাইন ঘোষণা করনে না কেন?রিজভী আরও বলেন, আমরা কি ছাত্র? শিক্ষক সেজে ছাত্র ভাববেন না। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা করা একটি পরিপক্ব দল। আপনারা যদি মনে করেন হেডমাস্টার সেজে সিলেবাস তৈরি করে রাজনৈতিক দলকে শিক্ষা দেবেন তা হবে না।তিনি বলেন, সংস্কার কি তা আমরা জানি। সংবিধান, নির্বাচন কমিশন কীভাবে হবে তাও আমরা জানি।
আপনারা যদি মনে করেন আমরা এ বি সি ডি জানি না তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন।বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাবু কামাখ্যা চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে জনসমাবেশের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম।আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জাকারিয়া, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, সদস্য শামিমা বরকত লাকি, মাহবুব আলমগীর আলো, চৌমুহনী পৌর বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন প্রমুখ।