Subscribe our Channel

রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও রপ্তানি আয় বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে। লাল ‘ফিতার দৌরাত্ম্য‘ এ শব্দ দুটি ভুলে যেতে হবে।বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটনভবনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত ‘রপ্তানি উন্নয়ন ভবন’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ডেনিমে প্রথম এবং তৈরি পোশাক শিল্পে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এটি আমাদের মতো দেশের জন্য কত যে গৌরব ও অহংকারের তা সবাই বুঝি। সেবা নিশ্চিত করতে হলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে। এ শব্দ আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত। সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দায়িত্বে অবহেলা করে টেবিলে কাজ ফেলে রাখা উচিত নয়। যেদিনের কাজ সেদিনেই করতে হবে। আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখা যাবে না।টিপু মুনশি বলেন, রপ্তানি বাড়ানোর বিকল্প নেই। রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সম্ভাবনাময় খাত আছে। দেশে রপ্তানিযোগ্য বৈচিত্র্যময় নানা পণ্যের সমাহার রয়েছে।

এগুলো কাজে লাগানোর জন্য দরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ২০৩০ এবং ২০৪১ সালের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, ১২ হাজার ডলার দিয়ে রপ্তানির যাত্রা শুরু। তা এখন প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভিয়েতনাম আমাদের দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নিয়ে যদি ২৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারে তাহলে আমরা কেন ৬০ বা ৭০ বিলিয়ন ডলারে পড়ে থাকবো। আমরা পারবো কারণ আমাদের সে সামর্থ্য আছে। এজন্য সবাইকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি না দিয়ে গরিব অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন দেশ ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে-যোগ করেন মন্ত্রী।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *